রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে অভিনেতা ও নির্মাতা তানভীর হাসান সুমনের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মঞ্চ ও টেলিভিশনের অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরের দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৩৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
উত্তরা পূর্বথানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রহিম জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঐ বাসা থেকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে খাবার খেয়ে সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘুমাতে যান তানভীর। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৃহকর্মী রুম পরিষ্কার করার জন্য ভেতরে ঢুকলে ফ্যানের সঙ্গে তানভীরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারপর পুলিশে খবর দেয়া হয়।
এসআই আবদুর রহিম আরও জানান, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে- মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তানভীর। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তানভীর লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর আনোয়ার উল্লাহর ছেলে। তার ভগ্নিপতি ইশতিয়াক আহমেদ জানান, স্ত্রী কোহিনূর নাহার আখন্দ ও ছেলে প্রখরকে (৬) নিয়ে উত্তরার ওই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন তানভীর। অনেক দিন থেকেই তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ৪-৫ বছর ধরে তিনি কোনো কাজ করছিলেন না। দেড় মাস আগে ব্রেইন স্ট্রোক করেন। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তানভীর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তানভীর নাট্যদল ঢাকা লিটল থিয়েটারের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি নাট্যকেন্দ্রে যোগ দেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালনাও করেছিলেন। ছিলেন বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতাও।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাহা