বিনোদন ডেস্ক
২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা একাধিকবার তলব করে ভারতীয় শীর্ষ নায়িকা জ্যাকলিনকে। সেই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে লাভবান হয়েছেন এই নায়িকা। প্রায় ১০ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছেন তিনি। যদিও এর মধ্যে থেকে ৭ কোটি রুপির সম্পদ এরই মধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
এর পর থেকেই জ্যাকলিন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দ্রতে। সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম রয়েছে। কয়েক দিন আগে এ মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। অসুস্থ মাকে দেখতে বাহরাইনে যেতে চাই— আদালতের কাছে এমন আবেদন করেন জ্যাকলিন। কিন্তু মাকে দেখা হলো না অনুমতি না পাবার কারণে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আপত্তির মুখে এই আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি আদালতে এ মামলার শুনানি হয়। আদালতে শুনানি চলাকালীন জ্যাকলিনের আইনজীবী আদালতকে জানান, অভিনেত্রীর মা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে গুরুতর অসুস্থ। মানবিকতার খাতিরে জ্যাকলিনের বাহরাইন ভ্রমণের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। এ আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি।
এ সময় অতিরিক্ত দায়রা জজ শৈলেন্দ্র মালিক বলেন, আমি বুঝতে পারছি আপনি আপনার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। আমরা বাবা-মায়ের প্রতি খুব আবেগপ্রবণ। কিন্তু মামলা এখন খুবই গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে।
বিচারকের এ বক্তেব্যের পর জ্যাকলিনের আইনজীবী আদালতকে জানান, এ মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। জ্যাকলিন যেকোনো মূল্যে ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি জ্যাকলিন এই মামলার ১০ নম্বর আসামি। ৬ জানুয়ারি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে কাঠগড়ায় তোলা হবে, জ্যাকলিনের নম্বর আসতে সময় লাগবে। কিন্তু তাতেও আদালতের মন গলেনি।