আওয়ামী সাংসদের মঞ্চে জামায়াত নেতা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম

raj-photo-file-03-(mp-dara-_120394_0এক পাশে আওয়ামী লীগের সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আরেক পাশে পুঠিয়া উপজেলা জামায়াত নেতা ও মামলার পলাতক আসামি রুহুল আমিন। মাঝখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরো দুই শীর্ষ নেতা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শনিবার রাজশাহীর পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়নের সেনভাগ-পন্নাপাড়া সড়ক উদ্বোধন করেন সাংসদ দারা। বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ দারার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জিউপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন।

মঞ্চে ওঠে সাংসদ দারার সঙ্গে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন কোলাকোলিও করেন। পরে ওই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা রুহুল আমিন। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হট্টগোল হয়। পরে জামায়াতের ওই নেতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘এমপি সাহেব এলাকায় এলে আমি প্রকেটশন দেই। ১০ জন চৌকিদার পাঠিয়ে নিরাপত্তা দেই। তিনি আমাকে পছন্দ করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করেছি। শনিবার রাস্তা উদ্বোধনের সময় এমপি সাহেবের সঙ্গে মঞ্চে উঠে কোলাকোলি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার নামে বাড়ি পোড়ানোর একটি মামলা আছে। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে। তবে মামলাটি মিথ্যা, তাই পুলিশ আমাকে ধরে না।’

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমরা জানতাম না- সেখানে জামায়াত নেতা রুহুল থাকবে। মঞ্চে তাকে দেখে আর মঞ্চে যাইনি। দেশে যখন এত নাশকতা হচ্ছে, তখন জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে অনুষ্ঠান করতে হবে কেন?’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, ‘ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে পুঠিয়ায় পেট্রোলবোমা হামলাসহ বেশ কিছু নাশকতার ঘটনায় এক ট্রাক হেলপার নিহত হয়েছেন। তবে সাংসদ দারার ঘনিষ্ট হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা, জিউপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নামে পুঠিয়া থানায় কোন মামলা হয় না।’

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতকে নিয়েই তিনি (সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা) চলছেন। তাই নাশকতা হলেও তারা আসামি হন না।’

পুঠিয়া থানার (ওসি) তদন্ত হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত নেতা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বোনের বাড়ি পোড়ানো, হামলা,  ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সে পলাতক রয়েছে। আমি নতুন এসেছি। রুহুল আমিনকে চিনি না বলে গ্রেফতার করতে পারিনি।’

এ ব্যাপারে সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘ওখানে রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। তখন জামায়াত নেতা রুহুল লাফ দিয়ে মঞ্চে উঠে গেছে। পরে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি।’

বিএনপি-জামায়াত প্রীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দু-একটা গুণ্ডা বদমায়েস আছে, তাদের কথায় নেগেটিভ নিউজ করার দরকার নাই। এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি, এগুলো নিয়ে নিউজ করেন।’

প্রতিক্ষণ/এডি/রানা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G