আজ বরগুনা গণহত্যা দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
আজ ২৯ মে,বরগুনাবাসীর জন্য রক্তাক্ত স্মৃতি বিজড়িত দিন। বরগুনা গণহত্যা দিবস। একাত্তরের এই দিনে, বরগুনার জেলখানায় ৭২ জনকে গুলি করে হত্যা করে পাক হানাদাররা।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মুক্তিযুদ্ধকালীন ২৭ মে মেজর নাদের পারভেজের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনী বরগুনায় প্রবেশ করে। তৎকালীন গণপূর্ত ডাকবাংলোয় অবস্থান নেয় বর্বর এ বাহিনীর সদস্যরা। ২৭ মে রাত থেকেই শুরু হয় ধর-পাকড়। তাদের সহায়তা করে দেশীয় রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। তারা মুক্তিকামী পরিবারে হানা দিয়ে নারী-পুরুষদের হাত পা বেঁধে নিয়ে আসে ক্যাম্পে। এখান থেকে যুবতী নারীদের পাঠানো হয় ডাকবাংলোয়, আর পুরুষদের পাঠানো হয় জেলখানায়। পৈশাচিক নির্যাতন শেষে নারীদের পরের দিন ছেড়ে দেয়া হয়। আর বলা হয় পুরুষরা ছাড়া পাবে দু’দিন পরে। কিন্তু তাদের দেখা পায়নি পরিবারের সদস্যরা। ২৯ ও ৩০ মে মুক্তিযুদ্ধের জঘন্যতম ঘটনা ঘটে বরগুনার জেলখানায়। কারা অভ্যন্তরে ২৯ মে সকালে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয় ৪২ জন মুক্তিকামী জনতাকে।
এসব মুক্তিযোদ্ধাদের লাশও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। জেলখানার পশ্চিম পার্শ্বে গণকবরে মাটি চাপা দেয় তাদের। গুলি খেয়েও যারা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন তাদের বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে ও কোদাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে অনেক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলখানার অভ্যন্তরে গণহত্যার ঘটনা বিরল। শুধু হত্যাই নয়। রাজাকারদের সহযোগিতায় তৎকালীন সময়ে গণপূর্ত বিভাগের ডাকবাংলোয় বাঙালী নারীদের এনে দিনের পর দিন গণধর্ষণ চালিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/জহির