আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য অংশ আদায়ে মানববন্ধন
এড. শাহ্ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট)
গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ ও আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য অংশ আদায়ে জাতিসংঘসহ বিশ্ব ফোরামে সোচ্চার হওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ শামসুদ্দীন সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকালে ও সাম্প্রতিক ভারতীয় শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশ সফরকালে পানির দাবী আদায় না করায় জাতি চরমভাবে হতাশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গাব্যারেজ নির্মাণ করে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ কর, পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান কর। গঙ্গাব্যারেজ নির্মাণ করলে শস্য উৎপাদনে কৃষকের পানির চাহিদা মেটানো, দেশের অভ্যন্তরে পানীয় জলের চাহিদাপূরণ, বিস্তীর্ণ এলাকায় মৎস্য চায় ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। জল বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা ও সুন্দরবনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
অবিলম্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে আন্তর্জাতিক নদী সমূহের পানির ন্যায্য অংশের দাবীতে সোচ্চার হতে সরকারের নিকট আহ্বান জানান তিনি। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে দেশের স্বার্থ রক্ষার আহ্বানও জানান।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গাব্যারেজ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচ প্রকল্প গ্রহণ ও মৃতপ্রায় নদীগুলোর পানি সরববাহ করে দেশের অভ্যন্তরে পানির চাহিদা পূরণ সম্ভব, তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গাব্যারেজ নির্মাণ কর। পানি সমস্যার সমাধান কর। তিস্তা, পদ্মা, কুশিয়ারা, সুরমা সকল নদীতে আজ মরুভুমির মত ধু-ধু বালুচর। সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ মরুভূমিতে রূপান্তরের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক হা-হা-কার করছে, পানি নেই পানি নেই। ফারাক্কা গজলডোবা, টিপাইমুখ বাঁধের পর আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশকে মরুভূমিতে রূপান্তর করবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, নজরুল গবেষক ও অগ্নিবীণার সভাপতি এইচ.এম সিরাজ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা কামরুন্নাহার, রাজিয়া বেগম, বাণী সরকার প্রমুখ। বক্তাগণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বর্জন করে সরকারকে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি