শারমিন আকতার:
সত্যিইতো, আপনি কি আপনার মায়ের ভাষা সঠিকভাবে জানেন? যে দেশের মাটিতে আপনার জন্ম, যার আলো বাতাসে বেড়ে উঠা সেই দেশের সার্বজনীন ভাষা কি শুদ্ধভাবে বলতে পারেন? উচ্চারণ করতে পারেন প্রতিটি অক্ষর; যার জন্য নির্দ্বিধায় প্রাণ দিয়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকত; একবারও নিজের জীবনের কথা না ভেবে?
আধুনিকতার ঝড়ো হাওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে মায়ের মুখের সেই আঞ্চলিক ভাষা। ভ্রান্ত অত্যাধুনিক ধ্যান ধারণায় জাতীয় ভাষা শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। ভুলে ভরা সাধু-চলিত আর কিছুটা আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয়ে চলেছে এক অদ্ভূতুরে জগা খিচুরি ভাষা। এর মাঝে নতুন আতঙ্ক হয়ে এল বাঙালি তরুণ-তরুণীর বাড়াবাড়ি ইংরেজি প্রীতি। ফলাফল, না বাংলা না ইংরেজি; এ দুয়ের মিশ্রণে একজাতীয় ভাষার উদ্ভাবন। যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ব্যাংলিশ ভাষা। যার বহুল প্রচলন নাটক, বিজ্ঞাপন আর মুষ্টিমেয় জনের মুখে মুখে।
এজন্যই কি শত সংগ্রামের বাধা পেরিয়ে আমাদের ভাষা শহিদেরা নিজের রক্ত দিয়ে লিখে গেছেন অ, আ, ক, খ? আজ থেকে শুরু হল অমর একুশের পথযাত্রা। আসুন এ মাসে শপথ করি, শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলা ভাষাকে কখনও অপদস্ত হতে দেব না।