চলে গেলেন এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে সবার প্রিয় শিল্পী লাকী আখন্দ। আমায় ডেকো না ফিরানো যাবে না; সত্যিই আজ আর ফেরানো গেল না তাঁকে। সবাইকে যেতে হবে এটাইতো স্বাভাবিক। তবে এমন গুণী শিল্পীকে ছাড়তে কার মন চায়। শিল্পী লাখী আখন্দ কী আসলেই আমাদের ছেড়ে গেছে? হয়তো গেছে আবার হয়তো যায়নি। তিনি আর কখনও সশরীরে আমাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারবেন না তা জানি। তবে থেমে থাকবে না তাঁর সেই কালজয়ী গান।
গুণী এ শিল্পীর সংগীতায়জনে করা বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা, আমায় ডেকো না, মামনিয়া, আগে যদি জানতাম, হৃদয় আমার প্রভৃতি।
লাকি আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘লাকি আখন্দ’। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে এ অ্যালবাম প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’ এর সদস্য। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সঙ্গীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন।
তিনি ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লাকী আখন্দ অন্যান্য যেসব শিল্পীর গান রচনা ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেখানে সীমান্ত তোমার (কুমার বিশ্বজিৎ), কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে (সামিনা চৌধুরী), আবার এলো যে সন্ধ্যা ( হ্যাপী আখন্দ), কে বাঁশি বাজায় রে (হ্যাপী আখন্দ)এবং বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ