প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২৪, ২০১৬ সময়ঃ ২:০০ অপরাহ্ণ..
সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
শারমিন আকতার:
আমি ভুত কথা বলি অদ্ভুত
ভুতং ভতং মারবো গুতং, সোজা গিয়ে পড়বে শতং
শুতং আমার মামার বাড়ি তাইতো যাবো তাড়াতাড়ি।
ঘটং ঘটং ঘটবে ঘটং, ঘট ঘট ঘটাং
মারবো ছুঁড়ে আস্ত একটা চিৎপটং!!
শতরঙ্গ শতরঙ্গ কী মজা কী মজা করব রঙ্গ
কীটপতঙ্গ কীটপটঙ্গ।
আমি শান্তির দূত, হাউ মাউ ভুঁত
নই আমি তুত
যে খায় শুধু ডিম আর দুধ
আমি এক মিষ্টি ভুত।
কেমন লিখলাম জানাবে? আমার লেখা প্রথম বাংলা-ভুতং কবিতা!!! ভুতুরে ভাষার সাথে আমাদের বাংলা ভাষা!! আমারতো অনেক মজা লেগেছে। আপনারা সাহসং দিলে, মানে সাহস দিলে আরও লিখব। ভাবছি একটা বই বের করে ফেলব!!!
জানেন, ইদানিং তুত আমাকে চোখে চোখে রাখছে। কিছুই বুঝতে পারছিনা, সব জেনে গেল না তো! আমার ফেইসবুক, তোমার সাথে বন্ধুত্ব, সব সব!!! আমার কবিতা, সবকিছু পড়ে ফেলেনিতো!
সবন্যাসং!!! হায়ং হায়ং, এখন কী হবে? মুরং বাপজনন যদি জানতে পারে?
অদ্ভুত : কি বলার জন্য এখানে এখন আসছিস? দিনের বেলায়তো সবাই নারসং করে ঘুম যায়, তুই কিতং এখনং?’
তুত: হিহিহি!!! হামং ভুতং বাচনং তুত।
অদ্ভুত : এই হামপানা, তুইতো ৫০টা ভাষা জানিস!! বাংলা ভাষায় কথা বলনা!!
তুত: হিহিহি!! ঠিক আছে, বল কি বলবো? আমার অনেক কাজ। তোমার মতো আমার কোন মানুষ বন্ধু নাই, মানুষ আমার শত্রু!! দেখলেই কেমন কেমন লাগে।
অদ্ভুত : হামাপানা, আরতো সোজঝো হয়ে হয় না। তুই বাপজননকে সব বলে দিছিস?
তুত: হিহিহি, হুহুহু, হিহিহি হিহিহি!!!
অদ্ভুত : কি বলনা?
তুত: ন ন ন , আমি বলি নং। আমার এখানে বসে থাকার কাজ নাই। যাই যাই যাই।
অদ্ভুত: তুত, আমার ছোট ভাই!! ধূত্তুরি ছাই। সারাদিন বলে খাই খাই খাই। ওর প্রিয় খাবার ডিম, দুধ। প্রথম ক্লাসে পড়ে। ভাব দেখে মনে হয় আমার বড়।
দুষ্টের শিরোমণি লংকার রাজা, খাই শুধু চনাচুর ভাজা। এই চনাচুর কোথা থেকে পাই জানেন? সুরিশের দোকান থেকে। বড় ভালো মানুষ ছেলে। তার কাছ থেকে প্রতিদিন চানাচুর চুরি করে আবার আসার সময় ভয় দেখায়। ওদিকে, সুরিশের বাবা প্রতিদিন ওকে বকা দেয়। সুরিশ, ভয়ে ভয়ে শেষ। বাবাকে আর কিছুই বলে না।…