আমেরিকা ও ফ্রান্স একযোগে মঙ্গলে অভিযান চালাবে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫ সময়ঃ ৯:২১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:২২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডটকম:

মঙ্গলদু’বছরের তিক্ততার মঙ্গলময় সমাধান? হয়তো তা-ই৷ এর ফলে মঙ্গলে সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা যৌথ ভাবে ঘোষণা করল আমেরিকা ও ফ্রান্স৷ বছর দুয়েক আগে অর্থাভাবের কারণ দেখিয়ে ইউরোপের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল নাসা৷

সে যাত্রায় ‘এক্সোমার্স’ নামে যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়৷ গত বছর আমেরিকার জায়গায় রাশিয়া চুক্তি সই করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে৷ স্বাভাবিক ভাবেই তিক্ত সম্পর্কে টানাপোড়েন নয়া মাত্রা পায়৷ তবে ফ্রান্সের সঙ্গে আমেরিকা নয়া চুক্তিতে সই করার পর সে তিক্ততায় ইতি পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

লাল গ্রহে একটি মানববিহীন ল্যান্ডার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকা ও ফ্রান্সের৷ মঙ্গলের শুকনো, ধুলোময় মাটির গভীরে কী রয়েছে, এবার নজর দেয়া হবে সে দিকে৷ প্রকল্পটির নাম দেয়া হচ্ছে ‘ইনসাইট’৷ নাসার মুখ্য প্রশাসক চার্লস বল্ডেন এবং ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার অফ স্পেস স্টাডিজের (সিএনইএস) প্রেসিডেন্ট জাঁ ইভ ল্য গল চুক্তিতে সই করেছেন৷ ২০১৬ সালের মার্চে মঙ্গলের উদ্দেশে অভিযান শুরু হওয়ার কথা৷ ছ’মাস পর মঙ্গলের মাটিতে পা রাখবে আমেরিকা-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে পাঠানো মঙ্গলযান৷

চুক্তি প্রসঙ্গে বল্ডেনের বক্তব্য, ‘একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় মঙ্গল কেমন ছিল, তা জানা প্রয়োজন৷ সে কারণেই আমাদের এই উদ্যোগ৷ এতে মঙ্গল সম্পর্কে যেমন তথ্য পাওয়া যাবে, তেমনই কী ভাবে পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল, সে সম্পর্কেও একটা নতুন ধারণা মিলতে পারে৷’ শুধু তা-ই নয়, মঙ্গলের মাটির নীচে তথাকথিত টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়া সম্পর্কেও খোঁজখবর মিলবে এই যৌথ অভিযানে৷

সিএনইএস-এর সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টিরিয়র স্ট্রাকচারের (এসইআইএস) যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে সে কাজে৷এসইআইএস যন্ত্রপাতি তৈরিতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার, ইউনাইটেড কিংডম স্পেস এজেন্সি এবং স্যুইস স্পেস অফিস৷ অর্থাৎ, ফ্রান্সের বাইরে ইউরোপের আরও তিনটি দেশ প্রকল্পের অংশীদার৷

কিন্ত্ত বছর দুয়েক আগে এমন সৌহার্দ্যের ছবি নেহাতই কষ্ট-কল্পনায় পর্যবসিত হয়েছিল৷ এক্সোমার্স প্রকল্প ছেড়ে নাসা বেরিয়ে আসার পর সেখানে ঢোকে রাশিয়া৷ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মঙ্গলে দু’টি মানববিহীন অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ ঘটনাচক্রে, মঙ্গলের আবহাওয়ায় মিথেনের খোঁজে ২০১৬ সালে অভিযান শুরুর কথা৷ যে বছর ইনসাইট প্রকল্পে মঙ্গলযান যাবে লাল গ্রহে৷

এদিকে নাসার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো অরবিটারের ক্যামেরায় মঙ্গলে তরল অবস্থায় জলের উপস্থিতির কিছু ইঙ্গিত ধরা পড়েছে৷ তাপমাত্রা বাড়লে মঙ্গলের ঢালে ‘কালো, আঙুলের মতো ছোপ’ দেখা যায়৷ তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে ওই ঢালগুলির লৌহ খনিজেও বদল ধরা পড়েছে৷ এর থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, তরল অবস্থায় জলের উপস্থিতি মঙ্গলে রয়েছে৷ মোট ১৩টি কালো ছোপ মঙ্গলে দেখা গিয়েছে৷

সূত্র : সংবাদসংস্থা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G