আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে বিদেশীরা
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি”? এই গানের মাধ্যমে একে একে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের বিদেশী কর্মকর্তাদের বাংলা ভাষা শেখানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ‘লার্ন বাংলা’র উদ্যেগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে স্বত:স্ফুর্তভাবে ‘লার্ন বাংলা’র কার্যালয়ে স্বপরিবারে উপস্থিত হয়েছেন দেশের নানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই বিদেশি কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ উপস্থিত থাকলেও তারা নিজেদের মধ্যে বাংলায় হাসি-ঠাট্টা, গল্প-গুজব করছেন; দেখে মনে হল বাংলা-ই যেন তাদের প্রাণের ভাষা।এত উচ্ছলতা, এত প্রাণবন্ত উপস্থাপনা। অথচ এদের কারো ভাষা বাংলা নয়।এখানে আরেকটি বিষয় ছিল খুব চোখে পড়ার মতো।তা হল কোরিয়ান কর্মকর্তার অনর্গল শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলায় কথা বলা।
অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে ছিলো ভিনদেশীদের মোনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা ও ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তারা ছিলেন অকৃপণ | সেজেছিলেন পুরোদস্তুর বাঙালি সাজে | এই ভিনদেশী নারীরা পড়েছিলেন শাড়ি আর খোঁপায় গুঁজেছিলেন গাদাফুল। অন্যদিকে পুরুষরা পড়েছেন পাজামা-পাঞ্জাবী।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালবাসা জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘লার্ন বাংলা’র ভাইস প্রিন্সিপাল।
এরপর বাংলায় সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা “আমার পরিচয়” আবৃত্তি করেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তাদের লেখা বাংলা দেয়াল পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন লার্ন বাংলার বিদেশি শিক্ষিার্থীরা। তাদের পরিবেশনায় বাংলা গান ও নাচ বেশ উপভোগ্য হয়েছে |
প্রতিবছর এ দিনটি যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে ‘লার্ন বাংলা’ পালন করে আসছে বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিদের সাথে নিয়ে।বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশীদের কাছে বাংলাভাষা শেখার আগ্রহ ও বাঙালি সংস্কৃতির সাথে পরিচয়ের এই চমৎকার সেতুবন্ধনটি তৈরি করে দিয়েছে মূলত এদেশীয় ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতি/ এডি/রন