ইরাকে আইএসের সুড়ঙ্গ

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:২৫ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ISইরাকের সিনজার শহরের নিচে আইএস নির্মিত পরস্পর সংযুক্ত সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সুড়ঙ্গে বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও রয়েছে। সুড়ঙ্গগুলোতে ঘুমানোর জন্য সিপিং বাঙ্কার, বিদ্যুতিক তার ও প্রতিরক্ষার জন্য বালির বস্তা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও সেখানে যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত অস্ত্র, ওষুধ এবং পবিত্র কোরআন শরীফেরও সন্ধান পাওয়া গেছে।

এক বছরের বেশি সময়ব্যাপী আইএস শাসিত সিনজার শহরটি এ মাসে কুর্দি বাহিনী দখল করার পর এসব সুড়ঙ্গের সন্ধান পায় তারা। পেশমার্গা নামে পরিচিত ইরাকি কুর্দি বাহিনীর কমান্ডার সামো ইয়াদো বলেন, ‘সিনজারের নিচে আমরা ৩০-৪০ টি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছি। শহরের ভেতরেই আরেকটি শহরের মতো করে এগুলো তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিমান হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করার জন্যই আইএস এসব সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছে। এগুলো ছিল তাদের অস্ত্রাগার।’

এসব সুড়ঙ্গ উন্মুক্ত হওয়ার পর একজন ফ্রিল্যান্সার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রত্যেকটি সুড়ঙ্গের শুরু হয়েছে একটি বাড়ি থেকে এবং কয়েকশ গজ পর্যন্ত বিস্তৃত দেয়ালে ছোট ছোট ফুটো করা হয়েছে। সুড়ঙ্গগুলোর প্রত্যেকটি শেষ হয়েছে অপর প্রান্তের কোনো বাড়ির নিচে।

পাথরের দেয়াল দ্বারা সুরক্ষিত এসব সরু সুড়ঙ্গ একজন মানুষ দাঁড়ানোর মতো উঁচু করে বানানো হয়েছে। দেয়ালে সারি সারি বালুর বস্তা, বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং ইস্পাত নির্মিত ছাদযুক্ত সুড়ঙ্গের পাশেই তৈরি করা হয়েছে সিøপিং বাঙ্কার। বাঙ্কারে বালিশ, কম্বলের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা কোরআন শরীফের ধুলিমলিন খন্ড এবং মেঝেতে ওষুধ, খাবারের টুকরা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সুড়ঙ্গের আরেকদিকে আমেরিকা নির্মিত গোলাবারুদ ও বিষ্ফোরক মজুদ করে রাখা হয়েছে। ভিডিওটি দেখে মনে হয়, সামরিক বাহিনীর জন্য নির্মিত সুরক্ষিত কোনো শহরের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। সুড়ঙ্গ তৈরি করে সেখানে অবস্থান করা আইএসের বরাবরের কৌশল। যুদ্ধের শুরু থেকেই আইএস এটি করে আসছে।

আইএস ২০১৪ সালের আগষ্টে সিনজার শহর দখল করে। সংখ্যালঘু ইয়াজিদি অধ্যুষিত শহরটিতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, লুণ্ঠন ও নির্যাতন চালিয়ে ইয়াজিদিদের বিতাড়িত করে এবং বহু ইয়াজিদি নারীকে যৌনদাসী হিসেবে বন্দি করে রাখে।

সম্প্রতি শহরটি আইএস মুক্তকারী পেশমার্গা বাহিনী দু’টি গণকবরের সন্ধান পায়। এসব কবরে ৫০-৬০ জন ইয়াজিদি নারী ও শিশুর লাশের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G