ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপের আসরে ইংল্যান্ড কতটা শক্তিধর দল সেটা নতুন করে আলোচনার দরকার পড়ে না। ফিফার তালিকায় ৫ নম্বর দল ইংলিশরা আজ কাতার বিশ্বকাপে ২০তম দল ইরানের বিপক্ষে। পার্থকটা এতোটাই বেশি ছিল যে, ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিদের পায়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৯০ মিনিট শেষ হয় ইংল্যান্ডের বিশাল জয় দিয়ে, ইরান ৫-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত।
তবে ম্যাচের শুরুতে যে প্রতিরোধের আভাস দিয়েছে ইরানী ফুটবল দল, সেটা তারা ধরে রাখতে পারেনি। ম্যাচে ৭ মিনিটেই গোল হজম করা কথা ছিল। কিন্তু বলে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হয় ইংলিশ আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা। উল্টো জটলার মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লেগে ইরানী গোলরক্ষক বেইরানভান্দ নিজদের খেলোয়াড়ের আঘাতে মাটিতে পড়ে যান।
টানা ৭ মিনিটের বেশি সময় ম্যাচ বন্ধ থাকার পর ১৬ মিনিটের সময় খেলা আবার শুরু হলো। ১ মিনিট পরই বেইরানভান্দ আবারো পড়ে গেলেন, এবার তিনি ইসাড়া দিলেন তার বদলী নামাতে। টিভিতে দেখা গেল ইরানী কোচ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে। কেন ইরানী কোচ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছিলেন তা টের পাওয়া গেল কয়েক মিনিট পরই। মুহু মুহু আক্রমণে ইরানী ডি বক্স-এ ডিফেন্সের মাথা নষ্ট হবার জোগাড়।
ম্যাচে ২৯ মিনিটে জটলা থেকে বল পেয়ে হট করলেও ইংলিশ ডিফেন্সের এই খেলোয়াড় বল ইরানী জাল খুঁজে পেলেন না, বল বার পোষ্টে আঘাত করে ফেরত এলো। এরপর আক্রমণ চলতেই থাকে। ইরানীরা বার কয়েক বল নিয়ে ইংলিশদের ঘরে হানা দিলেও তা বলার মতো ছিল না। ৩৪ মিনিটে আসে ইংলিশদের প্রথম সফলতা। বাম প্রান্ত দিয়ে করা আক্রমণ থেকে ২২ নম্বর জার্সিধারী বেলিংহাম উড়ন্ত বলে মাথা বাঁকিয়ে জাল খুঁজে নিলেন (১-০)।
৯ মিনিট পর ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে করা চিপ থেকে ১৭ নম্বর জার্সিধারী সাকা বলে কিক নিলেন ইরানী গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে (২-০)। ৪৫ মিনিটে ১০ নম্বর জার্সিধারী স্টার্লিং ডান দিক থেকে ইরানী পোষ্ট বাড়ানো বলে উড়ন্ত অবস্থাতেই টোকা দিলেন (৩-০)।
দ্বিতীয়ার্ধ ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে ইংলিশরা শুরু করে এবং ম্যাচের ৬০ মিনিটেই আসে ৪র্থ গোল। তবে এর ৬৫ মিনিটে ইরানের পক্ষে সান্তনা সূচক গোল আদায় করলেন ৯ নম্বর জার্সিধারী তারিমি। ৪-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইরান আরো পিছিয়ে গেল ৫ম গোল হজম করে। ম্যাচের শেষ দিকে ৬ষ্ঠ গোলটি হজমের পর যেন ইরানীরা নিজেদের সম্মান ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে কিছুটা শোধ দিতে চেষ্টা করে। একটি নিশ্চিত গোল বার পোষ্টে লেগে ফেরত আসলেও ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইরান ২ গোল আদায় ছিল খানিকটা সম্মান আদায় করা (৬-২)।