ইলিশ খেয়ে বিতর্কে ইউএনও
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইলিশ বর্জনের পরও ইলিশ মাছ খেয়ে বর্ষবরণ করে বিতর্কে জড়ালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় মণ ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়। ইউএনও’র ইলিশ মাছ খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে পুরো উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষে তার খাবার তালিকা থেকে ইলিশ মাছ বাদ দেয়ায় তার সম্মানে সারাদেশে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবারের লোকজন ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু আশুগঞ্জের ইউএনও প্রকাশ্যে দুই শতাধিক মানুষকে ইলিশ মাছ দিয়ে ভুরিভোজ করিয়েছেন। ইলিশ ছাড়াও খাবার তালিকায় ছিল প্রায় ১০ রকমের ভর্তা-ভাজি।
ইউএনও সন্দ্বীপ কুমার সিংহের আমন্ত্রণে এই ভুরিভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌসি আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা মকবুল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির আহমেদ প্রমুখ। তবে এই অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ জানান, ‘আসলে আমাদের মাছগুলো (ইলিশ) আগে থেকেই কেনা এবং ফ্রিজে রাখা ছিল। তাই মাছগুলো খাওয়াতে হয়েছে’।
তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষে ইলিশ মাছ বর্জন করলেও ইউএনও সন্দ্বীপ কুমার সিংহ ইলিশ মাছ খেয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, ‘সরকারিভাবে ইলিশ মাছ খাওয়া দেশে নিষিদ্ধ করা হয়নি। যেহেতু এখন ইলিশের প্রজননকাল তাই ইলিশ মাছ খাওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। তাছাড়া পান্তা-ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির কোনো অংশ নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেও নববর্ষে ইলিশ মাছ না খাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদি আশুগঞ্জের ইউএনও সাহেব ইলিশ মাছ খেয়ে বর্ষবরণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটি নিন্দনীয় বিষয়’।
======