ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন মহামায়ায়
জহির উদ্দিন মিশু
দুই পাশেই সবুজ বৃক্ষ। ঢালগুলো ছায়া ফেলেছে সড়কে। পিচঢালা আঁকাবাঁকা সড়ক।দূর থেকে শোনা যায় অপরুপ ঝর্ণার ধ্বনি, পাহাড়িয়া সবুজ গাছের সমারোহ আর অতিথি পাখিদের কলতান কার না মন জুড়ায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ দেখে মুগ্ধ হবেন সত্যিই। এ যেন সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি। যা প্রতিনিয়ত পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এমনি এক সৌন্দর্য্যের আধার মহামায়া পর্যটন কেন্দ্র। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দেড় কিলোমিটর পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এ স্পটের অবস্থান।
নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ। এ যেন প্রকৃতির লীলা খেলা। দু’পাশে থাকা বনাঞ্চলের দিকে তাকালে হয়তো সহজেই দেখা যাবে অনেক জীব বৈচিত্র। দেখা যাবে শেষ বিকেলের সূর্যের আলো যখন লেকে পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয় পুরো প্রকল্পটির অপরুপ দৃশ্য। এ প্রকল্পটি চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। মনোমুগ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দ্রর্যের চাদরে ঢাকা প্রকল্পটিতে ঝর্ণার পানি আছড়ে পড়ছে। চিকচিক বালিতে যেন সকালের মিষ্টিরোদ আলো ছড়ায় আর অস্তগামী সূর্যের লালিমাখা অনন্ত ছায়া যেন ঢেলে দেয় দিগন্ত জুড়ে। অপরূপ মহামায়ায় স্বর্ণালী স্বপ্নের মতোই বর্ণালী শোভা ঘেরা সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটন।
এখানে এলেই মহামায়ায় মনমোহনীরূপ তাদের আকৃষ্ট করবেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে শত শত পর্যটক এখানে প্রতিনিয়ত ভিড় জমায়। এত চমৎকার দৃশ্য সবারই মন জুড়াবে। মহামায়া প্রকল্পে গেলে দেখতে পাবেন দেশী বিদেশী হাজারো পাখ-পাখালীর কিছির মিছিরের কলতান তাছাড়া চমৎকার বিশাল বাঁধ তো রয়েছে। রয়েছে ১১ বর্গকিলোমিটারের বিশাল লেক। এ লেক থেকে ভিতরে বয়ে গেছে ১২ টি শাখা প্রশাখা। যেগুলো দিয়ে স্পিট বোর্ডের মাধ্যমে অনায়াসে ঘুরা যাবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার মনোমুগ্ধকর পাহাড়ী ঝর্ণাধারা। সবুজ শ্যামল পাহাড় দেখে মনে হবে সে প্রতিনিয়ত আপনাকে মন উজাড় করে ডাকছে। যেভাবে যেতে হবে: রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যে কোন বাসে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘী বাজারে নামতে হবে। নেমে সেখান থেকে সিএনজি যোগে প্রকল্প এলাকায় যেতে সময় লাগবে বড়জোর ২০ মিনিট। ভাড়া নিবে মাএ ৪০-৫০ টাকা।