প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
ঈদ-উল-ফিতরের দিনটি যে কোন মুসলমানের জন্যই দারুণ আনন্দের একটি দিন। এ দিন নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। এই আনন্দে নতুন পোশাক, ভিন্নধর্মী সাজসজজ্জা একটু আলাদা মাত্রা যোগ করে থাকে বৈকি।
আপনি হোন কিশোরী, তরুণী বা প্রৌঢ়া – নিশ্চয়ই আপনি ইতিমধ্যে চিন্তা করে ফেলেছেন ঈদের দিনটিতে কীভাবে আপনি চুলকে সাজাবেন। যদি না চিন্তা করে থাকেন তাহলে দেখে নিন তো এই ফিচারটি পড়ে কোন রকম আইডিয়া নেওয়া যায় কীনা! কারণ সাজগোজের ক্ষেত্রে চুলের সৌন্দর্য একটি বড় বিষয় নিঃসন্দেহে।
চুলের সাজের সময় আপনার মুখের গড়নের কথাটা মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিন চুল ছেড়ে রাখাই ভালো।
আজকাল চুল ফোলানোর ফ্যাশন খুব চলছে। যাদের মুখ গোলাকৃতির, তারা কপালের দিকটা কম ফোলান। লম্বাটে চেহারা যাদের, তারা পেছনের দিকটা ফুলিয়ে নিতে পারেন। আর যারা চাপা মুখের, তারা দুই পাশেই হালকা করে চুল ফুলিয়ে চুল সেট করে নিন।
তবে চেহারার আকৃতি যেমনই হোক, চুল একপাশ থেকে ছেড়ে দিলে সবাইকেই মোটামুটি সুন্দর দেখায়। চুল ফুলিয়ে তা আপনি খুলেও রাখতে পারেন। আবার ঈদের দিনে যদি গরম বা ব্নিৃষ্টেটি থাকে তবে আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে পনিটেল, বেনী বা খোপাও করতে পারেন। তবে খোপা যদি করেন তবে সাজ ও পোশাক যেন কিছুটা গর্জিয়াস হয় সেদিকে খায়াল রাখবেন। অনেকের ধারণা পনিটেল বা বেনী মানেই একঘেয়ে বিষয়। কিন্তু না এক পনিটেলই আপনি করতে পারেন নানানভাবে। ম্যাসি হাই পনি, সুপার স্লিক লো পনি, বাবল পনি – কত রকম পনিই না রয়েছে! এছাড়া বেনীর মধ্যে রয়েছে ফ্রেঞ্চ বেনী, ওয়াটারফল বেনী, মারমেইড বেনীসহ নানান রকম ধরণ। আপনি এই চুল বাঁধার স্টাইলগুলো ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেই শিখে নিতে পারবেন।
আপনি যেভাবেই চুল বাঁধুন না কেন অবশ্যই চুলে ব্যতিক্রমী ডিজাইন ও পোশাকের সাথে ম্যাচিং রঙের ক্লিপ ব্যবহার করবেন। তাহলে তা আপনার চুলের সাজে ভিন্নতা এনে দেবে।
অনেকে আছেন, কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন। তারা ঈদের আগেই পার্লারে গিয়ে চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে দিতে পারেন। আবার যাদের রিবন্ডিং করার, চুল ডাই করার বা চুলে নতুন কোন কাট দেওয়ার ইচ্ছা তারাও ঈদের আগে আগেই সেরে ফেলুন এসব কাজ। ঈদের দিনটিতে সুন্দর দেখাতে হবে না?!
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া