উৎপাদন হচ্ছে আরো ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মেয়াদে ৮৭টি নতুন কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এসব তথ্য জানান।
সংসদে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গ্রীষ্মকালীন সময়ে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। এ উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
বিভিন্ন মেয়াদে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
অন্যদিকে ১ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন। এ নিয়ে মোট ৮৭টি কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের ২টি স্থান থেকে ২ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চালু হবে। বর্তমানে (২০১৮-১৯ অর্থবছরে) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬ দশমিক ০১ টাকা।
প্রতি /এডি/মাহি