এক নারকীয় পশু হত্যার উৎসব
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
“ব্লাড ফিয়েস্তা”। যার সরল বাংলা অর্থ হলো রক্ত পার্টি। স্পেনের এক জনপ্রিয় কিন্তু পৈশাচিক উৎসব এটি। এই উৎসবে বীভৎস সব উপায়ে পশু হত্যা করা হয়।
আমরা বিভিন্ন কারণেই পশু হত্যা করে থাকি। মূলত খাওয়ার জন্যই পশু হত্যা করা হয়। কিন্তু পশু হত্যার সময় আমরা এটাও খেয়াল রাখি যাতে পশুটিকে যতটা সম্ভব কম কষ্ট দিয়ে মারা যায়। অথচ কী বর্বর ব্যাপার দেখুন। স্পেনের ব্লাড ফিয়েস্তাতে অংশগ্রহণকারীদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে যতটা সম্ভব কষ্ট দিয়ে বর্বরভাবে পশু হত্যা করা।
সব ধরণের পশুই ব্লাড ফিয়েস্তাতে হত্যা করা হয়। তবে সাধারণত গরু, মহিষ, ছাগলের মতো গৃহপালিত পশুই বেশি হত্যা করা হয়। আর হত্যা করতে কী নারকীয় সব উপায়ই না অবলম্বন করে মানুষরূপী দানবেরা। উঁচু টাওয়ার থেকে ফেলে দেওয়া, জ্যান্ত পশুর সারা শরীর গরম মোম দিয়ে ঢেকে দেওয়া, রাস্তায় দৌঁড় করাতে করাতে ধীরে ধীরে ছুরি ও বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলার মতো অমানুষিক, নিষ্ঠুরতম উপায়ে পশু হত্যা করে এই উৎসব নামের হত্যাযজ্ঞে অংশগ্রহণকারী মানুষেরা।
আপনি যদি এই উৎসবের পশু হত্যাকারীদের পোশাক-আশাকের দিকে তাকান তাহলে মনে হবে আপনি আধুনিক যুগে নয়, মধ্যযুগের রোমে চলে এসেছেন। শুধু পোশাক-আশাকেই নয়, কাজে-কর্মেই মধ্যযুগের বর্বরতা বহন করে চলেছে ব্লাড ফিয়েস্তা নামের এই বর্বর উৎসব। এমনকি যিনি অফিসিয়াল ষাড় হত্যাকারী হতে পারেন, তিনি উৎসবে ব্যবহৃত বর্শায় মৃত জন্তুর লেজ, কান ও অন্ডকোষ ঝুলিয়ে প্যারেড করার সম্মান লাভ করেন। এরপর তিনি মৃত জন্তুর অন্ডকোষ খাওয়ারও অনুমতি লাভ করেন।
স্পেনে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ব্লাড ফিয়েস্তা অনুষ্ঠিত হয়। আর মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে কেবল স্পেনে নয়, পর্তুগাল, মেক্সিকো ও ব্রাজিলেই এই নারকীয় উৎসবের প্রচলণ রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া