এখনো পানিবন্দি চট্টগ্রামের লক্ষাধিক মানুষ
চট্টগ্রামে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএল আবাসিক এলাকা এবং হালিশহর এলাকার লক্ষাধিক মানুষ চারদিন ধরে পানিবন্দি রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় মহেশখালে বাঁধ ও দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন মহেশখালের বাঁধ খুলে দেওয়ার কথা জানালেও এখনো এর কাজ শুরু হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতের পর গত বুধবার থেকে অব্যাহত বর্ষণে নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক এলাকার লক্ষাধিক মানুষ চারদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এ সব এলাকায় কোনো যন্ত্রযান চলাচল করছে না। পানিবন্দি হয়ে আছে গোসাইলডাঙ্গা, উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ এলাকা। এলাকার বহুতল ভবনগুলোর নিচতলা কোমর সমান পানিতে ডুবে রয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত মহেশখালে বাঁধের কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মহেশখালের বাঁধ উজানের পাঁচ লাখ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।’
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন ‘ইতিমধ্যে মহেশখালের বাঁধ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত বাঁধটি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণাংশে স্থানীয় নাগরিকদের বিরোধীতা সত্ত্বেও এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে সময় বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করায় স্থানীয়দের অনেকে মামলা ও পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছিল। বৃষ্টি হলেই এই বাঁধে পানি আটকে থাকার প্রভাবে আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা, এক্সেস রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই