এরশাদের হয়ে ক্ষমা চাইলেন রওশন

প্রকাশঃ জুন ২৯, ২০১৫ সময়ঃ ২:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

rowshonজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নারী সংসদ সদস্যদের ‘শোপিস’ বলায় ক্ষমা চাইলেন তার সহধর্মীনি ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে শুরুতেই তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং নারী সংসদ সদস্যদের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি তার (স্বামীর নাম মুখে না নিয়ে কিছুটা লাজুকভাব নিয়ে) বক্তব্যে আন্তরিকভাবেই দুঃখিত। হয়তো তার শব্দ চয়নটি ঠিক ছিল না। আমি এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

বিরোধী দলীয় নেতার এ বক্তব্যে টেবিল চাপড়িয়ে সাধুবাদ জানান নারী সংসদ সদস্যরা। আর পাশের চেয়ারে বসা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তখন মুচকি হাসছিলেন।

প্রসঙ্গত, এরশাদ কিছুক্ষণ আগে জাতীয় সংসদে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নারী সদস্যদের ‘শোপিস’ বলে আখ্যায়িত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান উপস্থিত নারী সদস্যরা। পরবর্তীতে স্পিকার এরশাদের বক্তব্যের অসংসদীয় শব্দগুলো ‘এক্সপাঞ্জ’ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘নারীরা আসলেই পিছিয়ে। যদি কোনো নারীর ৩০ শতাংশ সম্পত্তি থাকে, তার ২৯ শতাংশ পৈত্রিক ও বাকি ১ শতাংশ অর্জন। তবে এখন মেয়েরা চাকরি, ব্যবসা করে নিজেদের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছে।’ রওশন তার অনান্য দাবির সঙ্গে ‘নারীদের জন্য পৃথক ব্যাকিং ব্যবস্থা চালু’ করার দাবি জানান।

এছাড়া একাত্তরে নির্যাতিত নারীদের ‘বিরাঙ্গনা’র বদলে মুক্তিযোদ্ধা নামে ডাকার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে রওশন এ বিষয়ে বলেন, ‘তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত হয়েছেন। তাদেরকে কেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ডাকা হয় না; তাদের পাশ থেকে ‘বিরাঙ্গনা’ শব্দটি উঠিয়ে ফেলতে হবে। ওই সময় নির্যাতিত মা-বোনদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ডাকতে হবে। এবং মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ-সুবিধাও তাদের দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’

প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর

 

প্রধানমন্ত্রীকে ‘শোপিস’ বললেন এরশাদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G