এলজি জি৬ এর গোপন কথা
বহু বছর ধরেই এলজি নানা মডেলের মুঠোফোন বাজারে আনছে। তার কোনটা গ্রাহকদের মন জয় করেছে, কোনটা করেছে হতাশ। অ্যাপেল বা স্যামসাংয়ের মত শীর্ষস্থান দখল করতে না পাররেও এলজি আলোচনার টেবিলে ছিলো সবসময়ই।
এলজি জি৬ গত বছরের জি৫ থেকে নকশার দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা এনেছে। বিশেষত পেছনের ক্যামেরা আর ফিঙ্গারপ্রিন্টের ক্ষেত্রে। পুরোপুরি ধাতব আবরণ থেকে সরে গিয়ে ধাতু আর কাঁচের মিশ্রণ নিয়ে এসেছে। মডিউল প্রযুক্তিও বাদ দিয়েছে তারা। অডিও আর গেমিং ডিসপ্লেতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবার।
‘ফ্ল্যাগশিপ’ বলতে বোঝায় কোন কোম্পানি জেই মডেলের ফোনটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি করে। এই ফোনটিকে ‘ফ্ল্যাগশিপ’ করার ইচ্ছা আছে এলজি’র। তবে কত বেশি বিক্রি তারা করতে পারবে তা ভবিষ্যতই বলে দিবে। এতে আছে ৪ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ। তবে কোন কোন দেশে ৬৪ জিবি স্টোরেজের আলাদা ভার্সনও পাওয়া যাবে।
ডিসপ্লে ৫.৭ ইঞ্চি লম্বা, যার অনুপাত ১৮:২। আগে কখনো এই অনুপাতের মুঠোফোন বাজারে আসে নি। রেজুলশন ২৮৮০*১৪৪০। এতে এইচডিআর ১০ ও ডলবি ভিশন এইচডিআর প্রযুক্তির ভিডিও দেখা যাবে। ৬০০ নিটের উজ্জ্বলতা সমরথন করার ফলে সূর্যের আলোতেও দেখতে কোন সমস্যা হবে না।
কোরিয়াতে কোয়াড ডেক প্রযুক্তির উচ্চমানের অডিও আউটপুট থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকবে তারবিহীন চার্জ দেয়ার সুবিধা। এক এক দেশে এক এক সুবিধা দেয়ার কারণে ফোনটি বিশ্বব্যাপী বেশি একটা জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
তবে সব দেশের ভার্সনেই দুটি পেছনের ক্যামেরা থাকবে। একটি দিয়ে ১২৫ ডিগ্রি দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তোলা সম্ভব হবে, আরেকটি থেকে ৭১ ডিগ্রি। দুটোই ১৩ মেগাপিক্সেলের। সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
ফোনটির ব্যাটারি ৩৩০০ মিলি অ্যাম্পায়ার ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। তার মানে আপনি ০% চার্জ থেকে নতুন একটি ১০০% চার্জযুক্ত ব্যাটারি সংযুক্ত করতে পারবেন না।
জি৬ এর পর্দা গরিলা গ্লাস ৩ দ্বারা সুরক্ষিত, ফলে দাগ পড়ার সুযোগ নেই। পেছনের অংশ পুরোপুরি কাঁচ দার নির্মিত। সাদা, ধূসর এবং কালো- তিন রঙে বাজারে আসবে ফোনটি।
এলজি জি৬ এর সর্বশেষ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি হল এটি পুরোপুরি ওয়াটারপ্রুফ। এটি আইপি-৬৮ দ্বারা সনদপ্রাপ্ত। এমনকি এটি সমুদ্রের পানিও প্রবেশমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল