ঐশ্বর্য নেই কিন্তু অভাবও নেই

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২, ২০১৫ সময়ঃ ৫:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:১৩ অপরাহ্ণ

151126164527_single_mother_bd_2_640x360_bbcবিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

আজ তেমনি একজন বিজয়িনীর কথা বলবো যিনি জীবন যুদ্ধে সত্যিই বিজয়িনীই।

মোসাম্মত শিউলি। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল বছর পাঁচ আগে।একমাত্র মেয়েকে কাছে নিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলেন নতুন জীবন। তবে তার সেই পথটি ছিল খুব কঠিন। তার স্বামীর বাড়ির সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসার জন্য। পাঁচ বছর পর ব্যর্থ হয়ে তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান।

শিউলি বলছিলেনম,“জীবন থেকে পালানোর জন্যই গিয়েছিলাম লন্ডনে।” সেখানে তিনি পড়াশোনা করেন। এরই মাঝে কয়েক বছর পর হঠাৎ একদিন তার মেয়ে ফোন করে বলে “মা আমি তোমার কাছে যেতে চাই”।
তখন শুরু হয় আরেক যুদ্ধ। অনেক চেষ্টা করেন মেয়েকে নিজের কাছে লন্ডনে নেয়ার জন্য। সেখানেও আসে নানান বাঁধা। অবশেষে তিনিই ফিরে আসেন দেশে।

কয়েক দিন আত্মীয় স্বজনের কাছে থাকেন। তবে তারা যে খুব হাসিমুখে তাকে গ্রহণ করেছিল তেমনটা না। অবশেষে ঢাকায় বাসা নিলেন মেয়েকে নিয়ে নতুন সংসার শুরু করবেন বলে। একটি বেসরকারি সংস্থা ভাল চাকরি পেলেন তিনি। কিন্তু যখন নতুন করে জীবন শুরু করবেন বলে সব কিছু গোছাচ্ছেন তখন বুঝতে পারলেন কোথায় যেন একটা বড় সমস্যা রয়েছে। বুঝতে পারলেন মেয়ের আচরণের অস্বাভাবিকতা।

শিউলি বলছিলেন “দীর্ঘদিন স্বামীর বাড়ির লোক আমার সম্পর্কে আমার মেয়েকে শুনিয়েছে নানা নেতিবাচক কথা। যার ফলে মেয়ে আমাকে একদম পছন্দ করে না, এমনকি তাকে আমার সম্পর্কে যা কিছু খারাপ কথা বলা হয়েছে সব সে বিশ্বাস করে”।
তিনি বলছিলেন “যখন আমি এটা বুঝলাম তখন মনে হল জীবনে তো আমার আর কিছুই থাকলো না”।

তারপরেও মন শক্ত করলেন, মেয়েকে নিয়ে গেলেন মনঃচিকিৎসকের কাছে। সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন । মেয়ের আচরণের অস্বাভিকতা এখন কিছুটা কম হলেও পুরাপুরি স্বাভাবিক নয়।
শিউলি বলছিলেন “মেয়ের পড়াশোনা, তাকে সময় দেয়া, আমার চাকরি এসব সব কিছু নিয়ে আমার সংসার”।
“আমার ঐশ্বর্য নেই কিন্তু আমার এখন কোন অভাব নেই” এমনটিই বলছিলেন শিউলি।

প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G