কঠিন পাসওয়ার্ড তৈরি করছে ১১ বছরের মীরা
সাহাদাত হোসেন
পাসওয়ার্ড অনেকটা আলামারি বা সিন্দুকের চাবির মতো। যদি সেটা খুব সহজেই নকল করা যায়, তবে আপনার মূল্যবান জিনিস চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আজকের হ্যাকিংয়ের বাড়বাড়ন্তে সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড তৈরি করা একটা চ্যালেঞ্জ । তবে ১১ বছরের মীরা এমন পাসওয়ার্ড তৈরি করে, যে সেটা হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব। আর পাসওয়ার্ড বানিয়েই মোটা রোজগারও করছে সে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মীরা নিউ ইয়র্কে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তবে এর মধ্যেই পাসওয়ার্ড বানানোয় বেশ নাম করেছে সে। প্রতি দিন মীরার কাছে পাসওয়ার্ডের জন্য প্রচুর খদ্দের আসছেন। না, সরাসরি নয়, ইমেলের মাধ্যমেই আসে এই অর্ডার। আর সে অনুযায়ী পছন্দের পাসওয়ার্ড বানিয়ে দেয় মীরা। প্রত্যেক পাসওয়ার্ডের জন্য ২ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক নেয় সে।
কী ভাবে বানায় এমন কঠিন পাসওয়ার্ড?পদ্ধতিটি কয়েক দশক প্রাচীন। দু’টি বা তিনটি লুডো খেলার ডাইস নিয়ে দান ফেলার মতো করে এই পাসওয়ার্ড বানায় । প্রত্যেক দানে যে নম্বর উঠবে সে অনুযায়ী অ্যালফাবেট সাজিয়ে এবং নম্বর বসিয়ে পাসওয়ার্ড বানানো হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এ ধরনের পাসওয়ার্ড নাকি সহজেই মনে রাখা যায়। মীরার মা জুলিয়া অ্যাঙ্গউইন প্রাক্তন সাংবাদিক।
ড্র্যাগনেট নেশন’ নামে তার বই লেখার সময় মীরাকে দিয়ে নিজের গবেষণার জন্য এই পাসওয়ার্ড বানানোর কাজ করাতেন। সেই থেকে এটা ভীষণ পছন্দের একটা বিষয় হয়ে যায় মীরার কাছে।ওর কথায়, ‘আমার বন্ধুরা ঠিক এটা বুঝে উঠতে পারে না, তবে আমার দিব্যি লাগে। আমার মনে হয় সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড থাকা খুব জরুরি। এখন হ্যাকাররা মুখিয়ে থাকে গোপন তথ্য জানতে।
আপনার পাসওয়ার্ড বানানোর সঙ্গে সঙ্গে তা হ্যাক হয়ে যেতে পারে।পাসওয়ার্ড বানানোর পর নিজে সেটা হাতে লিখে যিনি অর্ডার দিয়েছেন, তার বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় মীরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস. আর. এস