কলার খোসার উপকারিতা
ফারজানা ওয়াহিদ
মানুষ মাত্রই সুন্দর। প্রায় সকলেই আমরা চাই নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে। তাই নিজের ওজনের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। রোগা হতে চান? দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলতে চান? তাহলে কলার খোসা খান। বেশি বেশি করে খান।
কী ভাবছেন, রসিকতা করছি? উপহাস করছি? মোটেই না। লোক ঠকানোর কোনও কথাই এখানে হচ্ছে না। সত্যি সত্যিই কলার খোসা খেলে ওজন কমবে। জাপানের বিজ্ঞানীরা রীতিমতো হাতে কলমে পরীক্ষা করে এর প্রমাণ পেয়েছেন।
কলার খোসায় কী কী গুণাবলি রয়েছে- এক কথায় বলা যাবে না। উপকারিতা অনেক। ভিটামিন এ আছে। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লিউটেনিন রয়েছে। যা চোখ ভাল রাখতে এবং চোখকে ছানি পড়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে। আছে অনেকটা পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। আর আছে প্রচুর পরিমাণে সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার। যা কোলস্টেরল দ্রুত কমাবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সেইসঙ্গে আপনার ওজনও থাকবে এক্কেবারে নিয়ন্ত্রণে।
তবে ভাববেন না যা কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান শুধু খোসাতেই আছে। ফলটি ফেলে দিলেও চলবে। কলা খেলেও শরীর নানাভাবে উপকৃত হবে। কলাতে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান যেমন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২ এবং ফাইবার। কলা পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কিন্তু কলার খোসা খাবেন কী করে? পাকা কলার খোসা তো এমনিই খেয়ে নেওয়া যায়। কাঁচা কলার খোসা খাওয়ার আগে ভাল করে সেদ্ধ করে নেবেন। প্রায় মিনিট দশেক ফুটিয়ে অল্প বিটনুন-গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। ইচ্ছে হলে রান্না করে তরকারি হিসাবেও খেতে পারেন। নিয়ম করে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেন। হাতেনাতে ফল পাবেন। শুধু ওজন না শরীরের অনেক কিছুতেই উপকার পাবেন।
প্রতিক্ষন/এডমি/এফজে