আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
কাতারে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা এবং যারা বিশ্বকাপ দেখতে গেছেন তারা তাদের পতাকাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এবং বিশ্বকাপে মাধ্যমে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছে। দোহার বৃহৎ ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় জানত যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্ট এই বিশ্বকাপ আসর। এ সময় কাতারের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি থাকবে বেশি। সে সুযোগে নিজেদের দেশের কথা এবং তা প্রকাশ করার বড় সুযোগ এটি। মুলত কাতার বিশ্বকাপে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অধিকারের কথা বলছে।
“বিশ্বকাপ আমাদের কণ্ঠস্বর শোনানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে,” কাতারে অবস্থিত ফিলিস্তিনি বাদের কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের বাড়ি লুসাইলে উৎসবের রাতে আল জাজিরাকে বলেছেন। এই বিশ্বকাপ ফাইনাল এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি তাদের উপস্থিতি জানান দিতে শুধু পতাকা দিয়ে নয়, তাদের পোশাকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বাদের প্যালেস্টাইনের মানচিত্র সহ একটি টি-শার্ট পরতেন এবং এতে “ফ্রি প্যালেস্টাইন” লেখা ছিল। তার গলায় প্যালেস্টাইনের কেফিয়াহ (স্কার্ফ) এবং পতাকা ছিল। বাদের বলেন, “সারা বিশ্বের লোকেরা এখান কাতারে রয়েছে এবং যখন তারা আমাদেরকে এমন পোশাক পরা দেখে তারা আমাদের কাছে আসে এবং জিজ্ঞাসা করে আমরা কোথা থেকে এসেছি। এটি আমাদেরকে আমাদের জন্মভূমির পরিস্থিতির সাথে তাদের পরিচিত করার। কাতার বিশ্বকে আমাদের সংস্কৃতি দেখানোর এবং আমাদের ইতিহাস বর্ণনা করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
তারা ইসরায়েল সম্পর্কে জানে, কিন্তু ফিলিস্তিন সম্পর্কে নয়। ফিলিস্তিন দখল না করা পর্যন্ত ইসরাইল ছিল না। কাতারের রাস্তায়
এক দল পুরুষ এবং মহিলা জড়ো হয়ে একটি স্পিকার থেকে সঙ্গীত বাজতে শুরু করার সাথে সাথে একটি উচ্চস্বরে উল্লাস তৈরি হয়। বেজে উঠে তারা দাম্মি ফালাস্তিনি (মাই ব্লাড ইজ ফিলিস্তিনি) নামে একটি জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি গান, সাথে গাইতে শুরু করে এবং নাচতে শুরু করে সকল ফিলিস্তিনরা।
সূত্র : আল-জাজিরা