ক্রীড়া ডেস্ক
ফিফা বিশ্বকাপ আসরটি এবার মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতারে বসেছে। কিন্তু কেন যেন কাতারের মাঠে বড় দল গুলো নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। যদি পারত তাহলে আর্জেন্টিনা, জার্মানি হারত না। যদি পারত তাহলে আজ মধ্যরাতে ফিফার তালিকায় ২ নম্বরে থাকা বেলজিয়াম-কে কেন এতো কষ্ট করে (১-০) কানাডাকে হারতে হবে! ম্যাচের যা চিত্র ছিল তাতে এ ম্যাচের ফলাফল ড্র হবার কথা ছিল। ভাগ্য ভাল বলেই বেলজিয়াম জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। যদি কানাডা পেনাল্টি মিস না করত, তা হলেও তো ম্যাচটা ড্রও হতে পারত।
বিশ্বকাপে এফ গ্রুপে এ দুই দলের আজ ছিল প্রথম ম্যাচ। শুরু থেকেই কানাডা চেপে ধরে। খেলা দেখে মনে হয়নি কানাডা ফিফার তালিকায় ৪১তম দল ২ নম্বরে থাকা দলের রক্ষণ দেয়াল ভাঙ্গতে চেষ্টা করছে। পুরো ম্যাচেই অধিকাংশ সময় কানাডা সমান তালে খেলেছে। প্রথমার্ধে ভাগ্য ভাল যে বেলজিয়াম গোল হজম করেনি। প্রথমার্ধে কানাডার আক্রমণে এতোটাই কঠিন ছিল যে বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ অবৈধ ভাবে বাধা দিতে বাধ্য হয়। এর ফলে পেনান্টিও পেয়ে যায় কানাডা, কিন্তু ১৯ নম্বর জার্সিধারী কাজে লাগাতে পারলেন না। গোলরক্ষক তার পায়ে দিকেই তাকিয়ে ছিল, তা নয় তো এভাবে এতো সহজে বলের লাইনে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরে ফেলে কি করে!
সে কারণেই বেলজিয়াম এক তরফা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছে এটা বলা কোন সুযোগ নেই। ম্যাচের প্রধমার্ধে কয়েক বারই কানাডা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। বেলজিয়ামের গোলরক্ষক একাধিক বার দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। বার বার ব্যর্থ হচ্ছিল বেলজিয়ামের রক্ষণ ভাগ।
উল্টো ঘটনা ঘটে গেল ৪৪ মিনিটে। একটি হাফ চান্স কাজে লাগিয়ে লিড নিয়ে নেয় বেলজিয়াম। মধ্য মাঠ থেকে বল লম্ব শটে বাতাসে ভাসিয়ে দিল বেলজিয়ামের ডিফেন্স। কানাডার বড় ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে থাকা বেলজিয়ামের ২৩ নম্বর জার্সিধারী মিকি বাটসুয়াই দুই কানাডিয়ান ডিফেন্সের মাঝে থেকে দৌড়ের মধ্যেই চলন্ত বলে কিক নিলেন, বল গোলরক্ষকে হাত ফস্কে সোজা জালে (১-০)।
এক মাত্র লিড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল বাড়ানো মতো বড় কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বেলজিয়াম। উল্টো ম্যাচের ৮১ মিনিটে নিশ্চিত গোল আটকে দিলেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক। ম্যাচের ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও বেলজিয়াম আর গোলের দেখা পায়নি। তবে অতিরিক্ত সমেয় কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে দেয়নি কানাডা।