কাবুলে বোমা হামলায় নিহত ৮০
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
ফের জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৮০ জন। আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রাজধানী বোমায় আহত হয়েছে আরও দুই শতাধিক ব্যক্তি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে কয়েক হাজার মানুষ দেহমাজাং সার্কেলে জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎই পর পর দু’টি জোরাল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই দায় স্বীকার করে কথিত ইসলামিক স্টেট আইএস।
টেলিভিশনে প্রচারিত ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওচিত্রে রক্তে ভেজা রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে হামলায় ৮০ জন এবং ২৩১ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানে তালেবান ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর একক ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনাগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে এই হামলা।
এর আগে দেশটিতে হাজারা জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল ২০১১ সালে, আশুরা উপলক্ষে কাবুলে শিয়া উৎসবে ওই হামলায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। সে হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের উগ্রপন্থি সুন্নি গোষ্ঠী লস্কর-ই-জাংভি।
আইএসের পক্ষে শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠীর মুখপাত্র আমাক- এ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাবুলে শিয়াদের একটি জমায়েতে দুইজন যোদ্ধা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”
কাবুলে ডেমাজাং চত্বরে শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ নতুন বিদ্যুত লাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।
তাদের প্রতিবাদের কারণ ছিল নতুন বিদ্যুতের লাইন তাদের বেশিরভাগ মানুষ যেসব এলাকায় বাস করেন সেসব এলাকার বাইরে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে এর সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
একজন বিক্ষোভকারী, আরিফ আলি বলেছেন কয়েক দশক ধরে হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ কোণ ঠাসা হয়ে রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা, দারিদ্র এবং বৈষম্য রয়েছে।
ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের অবশ্যই এই ব্যক্তিদের কথা শুনতে হবে এবং তাদের আলোচনায় আহ্বান জানাতে হবে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন তিনি এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি রোববার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম