কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি ৫ এপ্রিল
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতলি করেছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানির জন্য চার সপ্তাহের সময় আবেদন করেন।
বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
গত ০৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রায় রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। মোট ৭০৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাতিল ও তাঁর খালাস চেয়েছেন তাঁরা।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে শুনানি ছয় সপ্তাহ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়েছিল। এ আবেদনের ওপর গত ৯ মার্চ শুনানি শেষে আদালত ১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে আপিল বিভাগ।
এর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ তিন বিচারপতি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন।
পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আইজিপি (প্রিজন) বরাবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান। কারাগারে কামারুজ্জামানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।
২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একই বছর ৬ জুন সাজা বাতিল করে খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন কামারুজ্জামান।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/মিজান