কারওয়ান বাজারে আগুন!
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কাওরান বাজারের হাসিনা মার্কেটে আগুন দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ঘটনাস্থলে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ তদারকি করেন।
টিনশেড দোতলা হাসিনা মার্কেটের বড় অংশ জুড়ে ছিল আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও গুঁড়ো মরিচের পাইকারি দোকান। এছাড়া, উত্তর অংশে ছিল হলুদ-মরিচ গুঁড়া করার মিল। পাশাপাশি লেপ-তোষক ও খাবারের দোকান ছিল এই মার্কেটে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিটের কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির কোনও পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে পানির স্বল্পতা ছিল। সেজন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। আগুনে দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে?। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে’।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, চাইলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তিনটি মার্কেট প্রস্তুত আছে। সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। পুড়ে যাওয়া মার্কেটে যেমন বৈধ দোকান আছে, তেমনি অবৈধ দোকানও আছে। আমরা ইচ্ছা করলে আগেই তাদের সরিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ঝড়ের সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেড় শতাধিক কর্মী কাজ করেন বলেও জানান তিনি’।
========