কিশোরগঞ্জের দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশঃ এপ্রিল ১৯, ২০১৭ সময়ঃ ১:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫২ অপরাহ্ণ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের মো. মোসলেম প্রধান (৬৬) ও সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেনকে (৫৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

বিচারিক প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের সাজা কার্যকর করতে হবে।

সেই সঙ্গে পলাতক মো. হুসাইনকে গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।

দুই আসামির বিরুদ্ধে থাকা ছয়টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, ৫ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও বাকি অভিযোগগুলোতে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুই আসামি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে হুসাইন নিকলি থানা এলাকায় ‘রাজাকার দারোগা’ হিসেবে এবং মোসলেম প্রধান নিকলি ইউনিয়নে রাজাকার কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তারা তখনকার কিশোরগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।

এর গত ৭ মার্চ এই দুইজনের বিরুদ্ধে শুনানি শেষ হয়। গত বছরের ৯ মে এই দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর এই দুইজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

এই দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগ আনা হয়। দুইজনের মধ্য মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান গ্রেপ্তার রয়েছেন।

গত বছরের ৭ জুলাই এই দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলীর ভাই।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G