কুবিতে সাপের উপদ্রপে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা
তানভীর সাবিক, কুবি :
লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে লাল মাটির ছোট-বড় পাহাড় ও টিলায় ঘেরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে বিভিন্ন ঝোপ-ঝাড় ও টিলা থাকায় পাহাড়ি বিষধর সাপের উপদ্রপ দিন দিন বেড়েই চলছে। আবাসিক হল, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে এসব সাপের উপদ্রপে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর আশপাশসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঝোঁপ-ঝাড়ে পূর্ণ হয়ে আছে। প্রচন্ড গরম ও অতি বৃষ্টিতে সন্ধ্যার পর এসব পাহাড়ি বিষধর সাপ ঝোঁপ-ঝাড় থেকে বের হয়ে আসে। প্রতিনিয়তই আবাসিক হল, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে সাপ দেখা যায়। যার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাপ আতঙ্কে দিন পার করছে। এছাড়া আবাসিক হল গুলোর বিভিন্ন রুম থেকেও মারা হচ্ছে বিষধর সাপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ‘শনিবার রাতে হলের ১০৬ নং কক্ষের ভেতরে একটি বিষাক্ত সাপ প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাপটিকে মেরে ফেলে। এর আগেও ১০৮ নং কক্ষ থেকে সাপ মারা হয়।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হানিফ ওয়াহিদ জানান, ‘সোমবার মধ্যরাতে হলের তিন তলায় একটি বিষাক্ত সাপ দেখতে পেলে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক সাপটি মেরে ফেলে।’
এছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্যাম্পাস ঝোঁপ-ঝাড়ে ভরে গেছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোক স্বল্পতা, ড্রেন ও ঝোঁপ-ঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার না করাই সাপ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ’।
এদিকে হলের নিচ তলায় অবস্থান করা রীতিমত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাপের ব্যাপক উপদ্রপ হওয়ায় আবাসিক হলে বিশেষ করে নিচ তলায় অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাপ বেড়ে যাওয়ায় পথে ঘাটে চলাচলও এখন খুবই বিপদজনক। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের অড্ডাস্থলে, শহিদ মিনারে, মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সাপ আতঙ্ক বিরাজ করে। এজন্য সাপ নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, ‘আমি দ্রুত সাপ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। তবে সাপ তো একেবারে নিধন করা সম্ভব না, তাই সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপত্তা কর্মীদেরও এ বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। ’
প্রতিক্ষণ/ এডি/রন