কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ভর্তা বানানী

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭ সময়ঃ ১:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১০ অপরাহ্ণ

Banani-2

ভর্তা, বাঙালি গ্রামীণ সমাজের কাছে অতি পরিচিত ও প্রিয় । একেক জায়গায় এর একেক নাম এবং উপকরণেও রয়েছে ভিন্নতা। আজ আমরা পরিচিত হবো কুমিল্লা অঞ্চলের ভর্তা বানানোর প্রক্রিয়ার সাথে। এখানে ভর্তাকে ‌’বানানী’ নামে ডাকা হয়।

উপকরণ:
চালতা,টমেটো,মূলা,বাধাকপি,মুচি,ক্ষিরা,আমড়া,তেতুঁল,কামরাঙা,গাজর,আপেল,বরই,পেয়ারা,জলপাই,গুড়ামরিচ,শুকনামরিচ,কাঁচামরিচ,ধনেপাতা,লবণ।

banani-1
পুষ্টিগুণ:

সব ধরণের সবজি ও ফলের সমন্বয়ে তৈরি বিভিন্ন ভিটামিনসমৃদ্ধ ভর্তা নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর।

20170202_112142

কীভাবে তৈরি করতে হয়: 

প্রথমে সব উপকরণ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কুচি কুচি করে কাটতে হবে। চাইলে গ্রেটার দিয়েও কুচি করে নিতে পারেন; তবে টমেটো, ক্ষিরা আর তেতুঁল ছাড়া। বরই, মুচি, চালতা বেটে নিলে ভর্তাটি আরও সুস্বাদু হবে। ধনেপাতা, কাঁচমরিচ, লবণ ও তেতুঁল ভালোভাবে আলাদা করে মেখে নিতে হবে। শুকনা মরিচগুলো সামান্য তেলে টালিয়ে নিতে হবে এবং মচমচে হয়ে গেলে লবণ দিয়ে মেখে নিতে হবে। এরপর  সমস্ত উপকরণের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ও মুখোরোচক বানানী বা ভর্তা।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G