কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ পরিচয়ে স্কুলের জমি দখল

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১১, ২০১৯ সময়ঃ ১১:৩৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রলীগ পরিচয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা বরকতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা ।এই  দখলকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে এক জন আহত হয়েছে।

জানা যায়, এলাকার এই স্কুলের পুকুরের পাড় ভরাট করে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা দোকানঘরের কাঠামো নির্মাণ শুরু করলে বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা এই কাজে বাঁধা দেয়।সেসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মাসুম নামে একজন আহত হয়। স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আলভী আলী শাওন, মাসুম, অন্তর ও রাজু তাদের লোকবল নিয়ে এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাদের বিরত রাখার চেষ্টা করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। সেসময় এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে তাদের অবৈধ দখলের কাজে বাঁধা দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে আরো লোকজন আসায় পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে অবস্থিত বেলগাছা বরকতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ১ একর ৬৯ শতক জমি রয়েছে। এই জমির মধ্যে পুকুর রয়েছে ১৩ শতক। এই পুকুরের ঢালের মাটি ভরাট করে স্থানীয় যুবকেরা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে জোর করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। সেখানে তারা ছাত্রলীগ অফিস ও দোকানঘর বরাদ্দ দিয়ে বাড়তি সুবিধা নেয়ার চেষ্টায় রত আছে। এনিয়েও এলাকায় বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানান, এই অবৈধ কাজে মজিবর রহমানের পূত্র আলভী আলী শাওন, জালাল মিস্ত্রির পূত্র মাসুম, স্কুলের পিয়ন আজিজুল ইসলামের পূত্র রাজু ও বাবলু সুপারভাইজারের পূত্র অন্তর জড়িত। তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে অস্থায়ীভাবে ঘর তুলে জায়গার দখল নেয়। পরে পুরো জায়গাটি দখলে নিতে স্কুল বন্ধের সময় নির্মাণ কাজ শুরু করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলভী আলী শাওন জানায়, আমরা এখানে আনসার ক্লাবের নামে বরাদ্দকৃত ১০ শতক জায়গায় ঘর তুলছি। এটা স্কুলের সম্পত্তি নয়। এনিয়ে আমার সহযোগী মাসুমকে আঘাত করা হলে তার মাথায় ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী জানান, স্কুল বন্ধের সময় তারা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজনসহ স্কুলের জায়গায় কাজ না করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা: রশীদুল ইসলাম জানান, তারা অবৈধভাবে স্কুলের ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর তুলছিল। বিষয়টি নিয়ে কমিটির সাথে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে ব্যবস্তা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান রণি জানান, সে ছাত্রলীগের কেউ না। কোন পদেও নেই। ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করে অবৈধভাবে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। এদেরকে প্রতিহত করে। প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে ।

প্রতি / এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G