কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কৃষি খাতের উন্নয়নে সরকার নানারকম পদক্ষেপ গ্রহনের পরও গত ১০ মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ৫.৭১ শতাংশ।
মাঠ পর্যায়ের প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি ঋণ বিতরণ করতে শর্ত সহজ করা এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলাসহ গ্রামের সাধারণ কৃষকদের সর্বাধুনিক সুবিধার আওতায় আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কমে যাচ্ছে কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ১০ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪৯ কোটি টাকা বা ৫.৭১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১১০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি খাতের ঋণে সুদহার তুলনামূলক কম হওয়ায় ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। তাছাড়া মূলত ঋণ নিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি এবং মামলার ভয়ে কৃষকরা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়ছেন বলেও ধারণা করছেন তারা। এদিকে কৃষিঋণ বিতরণ বাড়াতে সম্প্রতি কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণে বর্তমানে নির্ধারিত হারের তুলনায় ২ শতাংশ সুদ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১ জানুয়ারি থেকে কৃষকরা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারছেন। আগে যেখানে সুদ গুণতে হতো ১৩ শতাংশ।
কৃষিঋণ কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই হরতাল-অবরোধের কারণে ঋণ চাহিদা কিছুটা কমেছে। কেননা কৃষক ঋণ নিয়ে পণ্য উৎপাদন করলেও বাজারজাত করতে পারছে না। কৃষকদের এ সমস্যার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের জন্য কিছু সুবিধা দিচ্ছে।
ব্যাংকগুলো যেন কৃষকদের সঠিকভাবে এসব সুবিধা দেয় সে বিষয়ে কঠোর তদারকি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুদহার কমানোর ফলে কৃষকরা বর্তমানের তুলনায় বেশি উপকৃত হবেন। স্বাভাবিকভাবে ঋণ চাহিদাও বাড়বে। ফলে আগামীতে ঋণ বিতরণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিক্ষণ/এডি/নুর