ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম
রসুন হলো পেঁয়াজের জ্ঞাতি ভাই। তারা এক বংশের। রসুনের আদি বাড়ি মধ্য এশিয়ায়। তবে তার বিস্তার এখন সারা পৃথিবীতে। ইতিহাসে দেখা যায়, প্রায় সাত হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ রসুন খেয়ে অভ্যস্ত। প্রাচীন গ্রিসের বিখ্যাত চিকিৎসক এবং মেডিসিনের জনক হিপোক্রেটস, সার্জন এবং দার্শনিক গ্যালেন রসুনকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন।
আধুনিক গবেষণায়ও উঠে এসেছে এমন সব তথ্য।
একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী।
আধুনিক ভেষজ চিকিৎসকরাও সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, কৃমি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য পরিপাকের সমস্যাসহ লিভার ও পিত্তথলির নানা উপসর্গ দূর করতে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১. রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান।
২. আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানাতে রসুন ব্যবহূত হয়। ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক প্যাকেট বানাতেও ব্যবহূত হয় রসুন।
৩. যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তারা রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
৪. সর্দি কাশিতেও রসুন উপকারী।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে রসুন।
৬. সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক রসুন।
৮. নিয়মিত রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৯. শরীরের ব্যথা কমায় রসুন। রসুন হচ্ছে ন্যাচারাল পেইন কিলার। শিশু কিংবা বড়দের দাঁতে ব্যথা হলে একে কোষ রসুন চিবালে দাঁতে ব্যথা উপশম হবে।
১০. আমেরিকান ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানান, নিয়মিত রসুন খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি