কেমন হবে শিশুদের গরমে চলাফেরা?

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ২১, ২০১৬ সময়ঃ ৬:০৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:০৩ অপরাহ্ণ

জামশেদ আলম রনি

download (1)সময়টা এখন কাকফাটা রোদের। এতটাই বেশি যে, ছোট-বড়-বৃদ্ধ সবার জন্যই বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সূর্যীমামা। তবে এই গরমে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে সবার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে,কাজে মনোযোগী হওয়া যাবে সহজেই।

আজ আমি শিশুদের কিছু সাধারণ ভুলের দিকে নজর দেব। গরমের দিনে শিশুদের চলাফেরায় কিছু পরিবর্তন আনলে তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় সহজেই।
শিশুরা তাদের সমস্যার কথা খুলে বলতে পারে না অথবা বলা যায়, নিজেরা বুঝতেও পারে না সমস্যাটা কোথায়। তাই মা-বাবাকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে তার শিশুর ব্যাপারে।

স্বাভাবিক কারণেই গরমে নাভিশ্বাসে উঠে শিশুদের । তাই ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে জীবনযাপনেও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এই সময়ে শিশুরা স্কুলে যাওয়া-আসার মাঝে ঘটে যত বিপত্তি।
একটু যত্নবান হলেই তাদের স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকবে তেমনি দিনটিও কাটবে প্রশান্তিতে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা অধিকাংশই পড়াশোনা করে সরকারী স্কুলে। তাই তাদের স্কুলে যেতে হয় বাসে, হেঁটে কিংবা রিক্সায়। রোদে, যানজটে কিংবা ভীড়ে অনেকটা অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে স্কুলে
আসা-যাওয়া করতে হয়। সেকথা মাথায় রেখে কিছু বিষয়ে একটু সচেতন হলেই গরমেও পাওয়া যাবে স্বস্তি।

যেভাবে দিনটি শুরু করবেঃ

১. ভালো করে গোসল সেরে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হবে। সাথে ব্যাগে রাখতে পারো পানির বোতল, খাবার স্যালাইন। স্কুলে যাওয়ার পথে গরমে অস্বস্তি লাগতে পারে। তখন পান করতে পারো পানি।
২. স্কুলে পৌঁছার পর ক্লাসে ব্যাগ রেখে ওয়াশরুমে হাত-মুখ ভালো করে ধুয়ে নিবে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাবে। ক্লাসেও মন দিতে পারবে।
৩. দুপুরে টিফিন পিরিয়ডে বাইরের খাবার না খাওয়ায় ভালো। সঙ্গে রাখতে পারো ঘরে তৈরি খাবার। মায়ের হাতে বানানো যেকোনো খাবার তোমাকে সুরক্ষিত রাখবে।

৪. এই সময়ে জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই খাবার বিষয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে খোলা খাবারের কথা বলছি। রাস্তায় ভ্যানে করে রাখা খাবার জন্ডিসের সবচেয়ে বড় কারণ। তাই সাবধান, পরীক্ষার মাঝখানে ভীষণ বিপদে পড়তে হতে পারে।

৫. টিফিন শেষে হাত-মুখ ধুয়ে ক্লাসে যাবে। ক্লাসের ফাঁকে অস্বস্তি লাগলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে দেখবে বেশ ভালো লাগবে।

৬. কিছু বিষয়ে আমাদের শিশুদের স্বভাব একটু ভিন্ন রকমের।এই সময়ে খেয়াল রাখতে হবে তাদের প্রতি। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাইরের খাবার, পানিকে একদম না বলতে হবে। শিশুরা এই সময়ে চটফুটি,ফুসকা,ঝালমুড়ি,শরবতসহ রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন খাবারে আকৃষ্ট হয়। মা-বাবাকে তাই বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এসব খাবারে থাকে নানা রোগ-জীবাণু।
যা খেলে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

৭. খাবার হিসেবে বাংলা কলা, আনারস কিংবা মৌসুমী ফল খাওয়া যেতে পারে।
৮. বাইরের ফিল্টারের পানিকে বিশ্বাস না করাই ভালো। ঘর থেকে পানি নিয়ে যাওয়াটাই নিরাপদ।


india-heat-wave-630x420

বাসায় ফিরে যা করতে হবেঃ 

১. হালকা একটা গোসল সেরে নেওয়া যেতে পারে। তখন দেখবে কেমন ফুরফুরে লাগছে।এই সময়ে শিশুদের মধ্যে একটা খারাপ অভ্যাস দেখা যায়।স্কুল ব্যাগ রেখে জামাকাপড় না বদলে শুয়ে পড়া
কিংবা খেতে বসে যাওয়া। মা-বাবাকে একটু বিশেষ যত্নবান হতে হবে শিশুদের এসব বিষয়ে।তাহলেই আপনার সন্তানটি ভালো থাকবে। অসুস্থতার কারণে আপনাকে বাড়তি টেনশনে পড়তে হবে না।

কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শঃ

১.বাইরের খোলা খাবার কিছুতেই খাওয়া যাবে না।
২.ফিল্টারের পানির নামে জীবাণুযুক্ত পানিকে না বলতে হবে।
৩.খাবার গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই হাত-মুখ ধুয়ে খেতে হবে।
৪.যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে তারা ঠান্ডা পানি না খাওয়ায় ভালো। তবে যদি খেতেই হয় তাহলে মুখে কিছু সময় ধরে রেখে দিলেও ঠাণ্ডার পরিমাণ কমে যাবে।
৫.প্রতিদিন স্কুলে যেতে ছাতা নিয়ে যেতে হবে।

======

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G