কোকো লঞ্চডুবি: মাস্টারসহ নয়জনের কারাদণ্ড
আকতারুজ্জামান, ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে তেঁতুলিয়া নদীতে ঈদে বাড়িগামী যাত্রী বোঝাই লঞ্চ এমভি কোকো-৪ লঞ্চ ডুবিতে ৮১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় লঞ্চের মাস্টার শামসুল হকসহ নয়জনকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত নৌ-আদালতের (মেরিন কোর্ট) স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী হাসিনা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নয় জন হলেন- লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার শামসুল হক, তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, দ্বিতীয় শ্রেণির চালক মাকসুদ আহম্মেদ, সজল আরেফিন ইসলাম খান, হেলপার (সুকানি) আবুল কালাম, আব্দুল আজিজ, কেরানি টিটু, শামীম ও পরিদর্শক উজ্জ্বল।
রায়ে অর্থদণ্ডের ১৫ হাজার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও নয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া রায়ে কোকো-৪ লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান শিপ বাংলাদেশ লিমিটেডকে চার লাখ ৮৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণমূলক অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা আদায়ের পর ঐ ঘটনায় নিহতের পরিবারদের দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রায় ঘোষণার পর তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
২০০৯ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে ওই লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ওই বছর ২ ডিসেম্বর মামলা করেন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিক আইয়ুব। পরে ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর নৌ পরিবহণ অধিদপ্তদের মুখ্য পরিচালক শফিকুর রহমান দণ্ডিত নয়জনের রিরুদ্ধে সম্পূরক মামলা করেন। পরে মামলাটি দীর্ঘ আট বছর বিচার প্রক্রিয়ার পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
২০০৯ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে লালমোহনগামী এমভি কোকো-৪ নাজিরপুর ঘাটের কাছাকাছি এসে নিমজ্জিত হয়। এতে ৮৩ জন যাত্রী মারা যায়। দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ব্যর্থ হয়ে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ফিরে যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই