পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ কোয়েলের ডিম
হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
পৃথিবীতে যত প্রকার খাদ্য উপযোগী ডিম আছে তার মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম গুনে মানে এং পুষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ট। আমারা র্ফামের মুরগীর ডিম বহুলভাবে ব্যবহার করি, যার মধ্যে প্রাণের কোনো স্পন্দন নেই। কারণ এইগুলি মোরগ ছাড়া ডিম। এর বাচ্চা হয় না। অপর পক্ষে কোয়েলের ডিম বাচ্চা উৎপাদন করতে সক্ষম তাছাড়া পুষ্টিগুন ও অন্নান্য ডিম থেকে অনেক অনেক শ্রেয়।
৪০ বছর পার হলেই ডাক্তারের নির্দেশনা থাকে মুরগীর ডিম খাওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকুন। কারণ নিয়মিত মুরগীর ডিম খেলে কলোস্ট্ররেল বেড়ে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বয়স্ক লোকদের এই অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং অতীব সুস্বাদু খাদ্য ডিম খাওয়া থেকে বিরক্তি ভাবে বিরত থাকতে হয়। অথচ কোয়েলের ডিম নিসংকোচে যে কোনো বয়সের মানুষ অর্থ্যাৎ বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা খেতে পারে। এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম গ্রহণ করলে এ থেকে আপনি পাবেন প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
যে সকল কারনে কোয়েল পাখির ডিম সমাদৃত :
* কোয়েল ডিম প্রাণীজ খাদ্য দ্রব্য হলেও এর মধ্যে প্রটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম খেলে শরীরে সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
* মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরেল যখন ১.৪% তখন মুরগীর ডিমে ৪% চর্বি জাতীয় উপাদান থাকে ও মুরগীর তুলনায় তিন ভাগের একভাগ এবং কুসুমে প্রটিনের পরিমান মুরগীর থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
* ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমান তুলনা করলে আরও উৎসব্যঞ্জক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
* কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী।
* ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী।
* আয়রন পাঁচ গুণ বেশী।
* ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
* এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে অ্যালাজিক প্রতিক্রিয়াকে বিনষ্ট করে।
* এছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনেন ভিটামিন, মিনারেল, এবং এ্যামাইনো এসিড, কোয়েল ডিমে বিদ্যমান। যার কারণে কোয়েল ডিম ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা নিয়ে গবেষকদের কোন মতপার্থক্য নেই।
* সকালের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ৪/৫টা কোয়েল ডিম থাকলে দেহ যন্ত্রাদির কার্যক্রম যে ভাবে উন্নত করে ।
* র্হাটের কার্যক্ষমতা উন্নত করবে।
* কিডনী এবং লিভারের কার্যক্ষমতা দুর্বল থাকলে সবল করে।
* হজম শক্তি বাড়াবে এবং এসিডিটি কমাতে সাহায্য করবে।
* ব্রেন সব সময় সতেজ থাকবে এবং স্মৃতিশক্তি সবল রাখবে।
* সব বয়সের লোকদের পূর্ণজ্জীবিত করবে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
*বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমর্ত্তার বিকাশ ঘটাবে।
* দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা প্রতিদিন ৪/৫ টা কোয়েল ডিম গ্রহণ করে তবে ৩/৪ মাসের মধ্যে তার শরীরে পূর্ণ শক্তি ফিরে আসবে।
তাহলে আজ থেকে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোয়েলের ডিম থাকছে তো।
প্রতিক্ষণ/এডি/শিমুল