ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজকোট নগরের পান বিক্রেতা চুন্নি লাল। ৩০ বছর ধরে পান বিক্রি করেন ৪৮ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী। তাঁর উদ্ভাবিত ‘আগুন পান’ দেশটির বিভিন্ন নগর ও শহরে বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
রাজকোটে এত দিন পানের সঙ্গে চুন, সুপারি, জর্দা, লবঙ্গ, এলাচ, ধনিয়া ইত্যাদি খাওয়ার প্রচলন ছিল। কিন্তু আগুন পানের কারণে অন্য ধরনগুলোর চাহিদা কমেছে। আগুন পানের মধ্যে সুপারি, চুনের সঙ্গে লবঙ্গ দেওয়া হয়।
আগুন পান নিয়ে চুন্নি লাল জানান, ‘আমরা ২৫ ধরনের পান বিক্রি করি। এর মধ্যে চকোলেট, মিন্টসহ হরেক রকমের স্বাদের পান রয়েছে। ব্যবসার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতেই আমরা এই নতুনত্ব এনেছি। প্রথম দিকে এটি খেতে মানুষ সংশয় বোধ করত। তবে এখন এটিই বেশি পছন্দ করে ক্রেতারা।’
ক্রেতাদের ভীড়ে সব সময়ই মুখোরিত থাকে চুন্নি লালের পানের দোকান। এখানে আগত ক্রেতাদের অনেকেরেই ভাষ্য,
‘রাতের খাবারের পর এই পান না হলে চলে না। প্রথমে ভয় ভয় করলেও চিবনো শুরুর পর মুখে শীতলতা আসে। আর এই পান খেলে গলা ব্যথা কমে।’
এদিকে, চুন্নি লালকে অনুসরণ করে রাজকোটের অনেক পান বিক্রেতাও শুরু করেছেন আগুন পান বিক্রি।