ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহারে সচেতন হোন

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ১:১৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

আইটি প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

image_182571tinder-momentsjpg.pngঅনেক পিতা-মাতা বা অভিভাবকেরই জানা নেই যে, আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কিছু অ্যাপ এর ব্যবহার আপনার সন্তানের জন্য বড়ধরনের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

চলুন তাহলে জেনে নিই এমন পাঁচটি অ্যাপের তথ্য, যা আপনার সন্তান ব্যবহার করছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে।

১. স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat)

স্ন্যাপচ্যাট একটি ছবি-মেসেজিং অ্যাপ। স্ন্যাপচ্যাট দাবি করে যে, অ্যাপটির মাধ্যমে পাঠানো ছবি ও মেসেজ দেখার কয়েক মিনিট পর ডিলিট হয়ে যায়। আর এ অ্যাপ ব্যবহার করে বহু মানুষই অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি ও মেসেজ পাঠায়। যদিও তারা আশা করে যে, মেসেজগুলোর কোনো চিহ্ন থাকবে না। বাস্তবে মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট রাখা যায়। ফলে অ্যাপটির দাবিও সঠিক নয়।

২. টিন্ডার (Tinder)

স্ন্যাপচ্যাট অনাকাঙ্ক্ষিত ছবি শেয়ারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হলেও টিন্ডারের কাজ তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি অপরিচিত মানুষদের সঙ্গে ডেটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি চান যে, সন্তান সম্পূর্ণ অপরিচিত কোনো মানুষের সঙ্গে ডেটিং না করুক, তাহলে এ অ্যাপটি থেকে তাকে দূরে রাখুন।

৩. ভাইন (Vine)

ভাইন নামে অ্যাপটি বন্ধুদের মাঝে ছয় সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ারের সুযোগ করে দেয়। আপাতদৃষ্টিতে একে নিরীহ একটি বিষয় বলেই মনে হয়। কিন্তু বন্ধুদের প্রভাব ও চাপের বিষয়টি এখানে বিবেচনা করতে হবে। অনেক তরুণ-তরুণীই এ ছয় সেকেন্ডের ভিডিওকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করে। ফলে এ অ্যাপটিও তরুণদের ব্যবহারের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. হুইসপার (Whisper)

গুজব ও গোপন বিষয় বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নির্মিত অ্যাপ হুইসপার। এটি ব্যবহারকারীদের ছবি ও লেখা পরিচয় গোপন রেখেই পোস্ট করা যায়। এতে পোস্টদাতাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত বহু বিষয় প্রকাশিত হয়ে যায়। আর এটি শেয়ার করে ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে। ফলে এতে সাইবারবুলিং বা অনলাইনে নিগ্রহের ঘটনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এটি তরুণদের ভালোর চেয়ে খারাপই করে বেশি।

৫. ৯গ্যাগ (9Gag)

এটি অনলাইনে ছবি ও মেমে শেয়ার করার অ্যাপ। এর সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো, একজনের শেয়ারকৃত ছবি ও অ্যাপ সব ব্যবহারকারীই দেখতে পায়। ফলে এতে প্রাইভেসি বলে যেমন কিছু নেই তেমন এটি অপব্যবহারের হারও অনেক বেশি। এতে বহু ব্যবহারকারীই অপরাধমূলক কাজের নানা বিষয় প্রকাশ করে। এ ছাড়াও অনলাইনে নিগ্রহ ও হেনস্তা করার অসংখ্য ঘটনা ঘটে অ্যাপটিতে। ফলে ৯গ্যাগ অ্যাপটি থেকে আপনার সন্তানকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা উচিত।

তাহলে আজ থেকে সচেতন হোন। আপনার সন্তানকে রাখুন নিরাপদে।

প্রতিক্ষণ/এডি/জয়

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G