খালেদাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
ইউটিউবে খালেদা জিয়ার একটি সংলাপ প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, টেলিফোন আলাপে প্রমাণিত হয়েছে, সারাদেশে পেট্রোলবোমা ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এখনো তিনি নির্দেশনা দিয়ে নাশকতা করে যাচ্ছেন। এই কাজের জন্য খালেদা জিয়াকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। জনতার আদালতেও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার ওয়াসা ভবনের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ২০ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৭ জন পেট্রোলবোমায় মারা গেছেন। অসংখ্য লোক হাসপাতালে ভর্তি। আমরা বার বার বলেছি, পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আজ খালেদা জিয়া বিএনপির নেত্রী নন, তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নেত্রী।’
হানিফ বলেন, ‘৭১ টিভিতে দেখলাম চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা গোলাম আকবরকে খালেদা জিয়া বলছেন, ডা. শাহাদাতকে (চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক) যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু যেন সেই কাজে বাধা না দেন। কী কাজ সেটা? এতেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়া ধ্বংসের রাজনীতি করছেন। এও প্রমাণিত হয়েছে, সকল পেট্রোলবোমা হামলার নির্দেশদাতা খালেদা জিয়া।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার ব্যর্থ- সমালোচকদের এমন দাবি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘অনেকে বলেন আমরা ব্যর্থ। আগে একটি ক্ষুদ্র অংশ সন্ত্রাস করত। বিএনপির ৩০ শতাংশ ভোটার-সমর্থক রয়েছে। লাখ লাখ লোক যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তাহলে তো একটু সময় লাগবেই। এ জন্য তাদের দমন করতে একটু সময় লাগছে।’
হানিফ বলেন, ‘এদের ধরিয়ে দিন। সাধারণ মানুষের দায়িত্ব এদের ধরিয়ে দেওয়া। এদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করার মাধ্যমেই দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হবে।’
হানিফ বলেন, ‘সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে গেছে। অথচ খালেদা জিয়া তার নাতনির পরীক্ষার কারণে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দিলেন। নিজের পরিবারের পরীক্ষার জন্য তার ঠিকই মায়া হয় কিন্তু জনগণের জন্য তার কোনো মায়া নেই। আপনার লজ্জা হয় না। আমরা আপনার কার্যকলাপের নিন্দা জানাই।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাফিজ উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ /এডি/বাদল