খালেদার আরেক মামলার আদালত স্থানান্তর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত বদলির পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও আদালত স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশেষ জজ আদালত-৩ থেকে বদলি করে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই আদেশ দেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বিচারাধীন ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও একই আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এখন এ দুটি মামলার কার্যক্রম চলবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
এর আগে গত ১৫ মে বিচারক পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন। গত ১৩ এপ্রিল আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ আবেদন খারিজ হয়েছিল। সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন তার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩। মামলাটি এ আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলির জন্য আবেদন করলে গত ১৩ এপ্রিল তা খারিজ করে দেন। এবার এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিচারের জন্য স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়ের প্রতিও এর আগে অনাস্থা জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০১৪ সালের মার্চে বিচার শুরুর পর তার প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়া। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাসুদেবকে পটুয়াখালী বদলি করে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই