খালেদার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ সেপ্টেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে শুনানি শেষে দিন ধার্য করে দেন আদালত। এদিন হাজিরা দিতে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি আদালতে পৌঁছান। এর আগের দুটি তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলা দুটিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তিনি।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ওই আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এরপর থেকেই বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে বদলি করে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ