খালেদার ১১ মামলায় ২২ মে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ১:৩০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৩০ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২২ মে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে অসুস্থতাজনিত কারণে খালেদা জিয়া হাজির হতে না পারায় তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন।

এর মধ্যে ১০টি মামলায় এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানি এবং একটি মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ছিল।

খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, “ম্যাডাম অসুস্থ। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ দিয়েছেন।”

এর আগে আরও কয়েক দফা খালেদার সময়ের আবেদনের কারণে এই ১১ মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নাশকতার আটটি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও হত্যা আইনের দুটি।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ঐ মামলায় গত বছরের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।

যাত্রাবাড়ী থানার মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।

মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

গত বছরে এসব মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রের পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় হাজির হয়ে জামিন নেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G