খোঁপায় তারার ফুল
‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী , দেবো খোঁপায় তারার ফুল
কর্ণে দুলাবো তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল’
নারীর সৌন্দর্যের এক গুরুগম্ভীর গুরুত্ববহ দিক তার খোঁপা। তাইতো কবি নজরুলের একাধিক গানে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। রমনীকূল, নারীর চুল আর খোঁপাতে ফুল; এ যেন এক সুতোয় বাঁধা।
দক্ষিণী মেয়েদের দেখেছেন? চুলে ফুল লাগানো একটা অভ্যেসের মতো। ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে, ভিজে, এলো চুলে ফুলের মালা লাগিয়ে নেন।
সাধারণ সাজও অসাধারণ হয়ে ওঠে ফুলের ছোঁয়ায়। লম্বা চুল দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। কিন্তু কেটে ফেললেও কোনও অসুবিধে নেই।
শোল্ডার লেংথের সামান্য বেশি হলেও তো হাত খোঁপা হবে। তা না হলে নানারকম খোঁপা আজকাল কিনতে পাওয়া যায়, একেবারে ক্লিপ লাগানো।
ফিক্স করে নিয়ে ফুল লাগান। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে যেতে হলে পার্লারে যান। সব সময় জুঁই ফুল লাগাতে হবে এমন নয়।চাঁপা,গোলাপ, কারনেশন এমনকী অর্কিডও চলতে পারে।
নির্ভর করবে কোথায় যাচ্ছেন, মানে সেই অনুষ্ঠান কতটা জমকালো, কী পোশাক পরেছেন এবং কেমন হেয়ারস্টাইল।
বিনুনি, এলো খোঁপা, ফ্রেঞ্চ রোল নান ধরনের হেয়ারস্টাইলেই ফুল লাগানো যেতে পারে।
নির্দিষ্ট ফুলের নির্বাচনে একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। জুঁই ও চাঁপা যারা ভালবাসেন, তারা আর্দি ও ইন্টেলেকচুয়াল।
গোলাপ? সুইট অ্যান্ড রোম্যান্টিক। কারনেশনে ডিগনিটির ছোঁয়া। আর যদি কেউ সূর্যমুখী ভালবাসেন, তাদের সাহসী বলতেই হবে।