খোকার ১৩ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এ রায় দেওয়া হলো।
এছাড়া সাদেক হোসেন খোকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, যার মূল্য ১০ কোটি টাকার ওপরে, রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার দুর্নীতি দমন আইনের পৃথক দু’টি ধারায় এ দণ্ড দেন।
১৩ বছর কারাদণ্ডের অতিরিক্ত তাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও সাত মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ০৪ অক্টোবর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
মামলাটি প্রমাণের জন্য দুদক ৪০জন সাক্ষী আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের সাক্ষ্য নেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, এ মামলায় সাদেক হোসেন খোকা পলাতক রয়েছেন। তিনি পলাতক থাকায় সাক্ষীকে জেরা করার সুযোগ তিনি পাননি। একতরফাভাবেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।
মামলাটিতে এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিএনপি’র এ নেতার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ২০০৭ সালের ০৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন।
সম্পদের তদন্তের পর নয় কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২শ ৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নয় কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ০২ এপ্রিল রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
২০০৮ সালের পহেলা জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা এ মামলা হাইকোর্টে সাদেক হোসেন খোকার মামলা বাতিলের আবেদনের কারণে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিলো।
মামলাটিতে তার স্ত্রী মিসেস ইসমত আরাও আসামি। তবে চার্জশিট দাখিলের পূর্বে হাইকোর্ট তার অংশের মামলা কার্যক্রম স্থগিত করায় তদন্তও স্থগিত রয়েছে।
মামলায় খোকার ছেলে ইসরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেক আসামি থাকলেও তাদের চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/এসএবি