গবেষণা যখন “দাড়ি” নিয়ে!

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫ সময়ঃ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

দাড়িবিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে দাড়ির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। দাড়ির জনপ্রিয়তা বর্তমানে এতটাই বেড়ে গেছে যে ব্রিটেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঘোষনা দিয়েছেন, যে তিনি আগামি তিন বছর ধরে এই দাড়ির ইতিহাস নিয়ে একটি গবেষণা চালাবেন।

এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান ওয়াইদির এই গবেষণার বিষয়বস্তু হবে ‘দাড়ি , এর সাথে পুরুষত্ব এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক এবং দাড়ি কামানোর প্রযুক্তির বিবর্তন’।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় চালানো এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ‘দাড়িওয়ালা মুখ’ বা ‘পরিষ্কার-কামানো মুখ’ – যেটা যখন যত দুর্লভ হয় – ততই তার জনপ্রিয়তা বেশি হয়।

“যখন পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রচলন শীর্ষে উঠে যায়, ঠিক তখনই এর জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে – কারণ মেয়েদের চোখে তখন দাড়ি- না-রাখা লোকদেরকেই বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে” – বলেছিলেন জরিপ পরিচালনাকারী সিডনির বিজ্ঞানীরা।

দাড়িজরিপে বলা হয়, সে হিসেবে ২০১৪ সালের মধ্যেই দাড়ির জনপ্রিয়তার শীর্ষ্যবিন্দু পার হয়ে গেছে। কিন্তু তার পরও দাড়ির জনপ্রিয়তা এখনো অব্যাহতই আছে। সে জন্যই প্রফেসর ওয়াইদি এই গবেষণায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ড. ওয়াইদি বলেন, বহু শতাব্দী ধরেই অনেকের ধারণা ছিল দাড়িওয়ালা লোকেরা নোংরা বা এটি একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
এতে বোঝা যায়, দাড়ি নিয়ে সবসময়ই মানুষের ভেতর আগ্রহ ছিল এবং দাড়ির স্টাইল দিয়ে অনেক সময়ই একেকটা যুগকে চিহ্নিত করা সম্ভব।

বলা হচ্ছে, ১৭০০ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত দাড়ি রাখার অভ্যাস কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে এই গবেষণায় সেটাই দেখা হবে। এই সময়কালের দাড়ি নিয়ে গবেষণা এটিই প্রথম।

“ওয়েলকাম ট্রাস্ট” নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই জরিপের অর্থায়ন করছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G