গরু হত্যা করে মুসলিমের নাম দিতে গিয়ে হিন্দু ব্যক্তি গ্রেফতার
ভারতের অনেক রাজ্যের মধ্যে উত্তর প্রদেশ এমন একটি রাজ্য যেখানে গরু হত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু বিহারে এবার গরু হত্যা করে সাম্প্রদায়িক শান্তি নষ্ট করার অভিযোগে দুই হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিহারের গন্ডা জেলার কাটরা বাজার এলাকায় গত ১ অক্টোবর রোববার এ ঘটনা ঘটে।
রাজ্য পুলিশ জানায়, গো-হত্যার অভিযোগে তারা দুই জন হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বলছে, ঐ গোহত্যার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। গোন্ডা জেলা পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট উমেশ কুমার সিং বার্তা সংস্থা বিবিসি’কে জানান, গত রোববার কাটরা বাজার এলাকার একটি গ্রাম থেকে দুটি বাছুর চুরি হয়। পরে বাছুর দুটিকে গলা কেটে হত্যার করা হয়। এসময় স্থানীয়রা রাসসেবক ও মঙ্গল নামের দুই হিন্দু ব্যক্তিতে পালাতে দেখে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। তাৎক্ষাণিক ভাবে পুলিশ ঐ দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে।
ঐ দুটি বাছুর হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে স্বীকার করে উমেশ সিং জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পুলিশ পাঠাতে হয়েছিল। অন্যদিকে আটক দুই ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বীকার করে যে, ‘পরিকল্পনা করেই তারা বাছুড় চুরি ও হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে ’।
তবে তারা যে বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা করেছিলা সেটা নিশ্চিত। এখন সেই পরিকল্পনাটাই জানার চেষ্টা চলছে।
ঐ দুই ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার না করা গেলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারত বলে মন্তব্য করে উমেশ সিং আরো জানান, শনি ও রোববার উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়ে যখন হিন্দ্র সম্প্রদায়ের দশেরা, নবরাত্রি, দুর্গাপুজোর মতো বড় উৎসব এবং মুসললিমদের মহরমও ছিল একই সময়ে। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানপুর, বলিয়া ও আগ্রায়ও উত্তেজনা ছড়ায়। এতে সেখানে বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়। তবে সময়মত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টির হতে পারতো।
এর আগে আগ্রায় দশেরার উৎসবের সময় ক্রমাগত শূন্যে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দুটি সংগঠনের ৮০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি বাংলা