গাইবান্ধার বোরো ক্ষেতে সবুজের বিপ্লব
তোফায়েল হোসেন জাকির(গাইবান্ধা থেকে):
সবুজ বাংলার কৃষি ভান্ডার হিসাবে খ্যাত গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের চাষাবাদকৃত ধানের ক্ষেত এখনগাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ফসলের ক্ষেত। কৃষকরা ইতিমধ্যে ক্ষেত পরিচর্যা শেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার সার-কীটনাশক প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষক জহির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিন তাদের উৎপাদিত ফসল সম্পর্কে প্রতিক্ষণকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনূকুল বা কোনপ্রাকৃকিত দুর্যোগ না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে’।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় সেচ সুবিধার আওতায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ২শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ৪৯ হাজার ৮শ’ ৫০ টি গভীর, অগভীর ও লো-লিফট পাম্পের মাধ্যমে এ সেচ কার্যক্রম পরিচালিত। এর মধ্যে ডিজেল চালিত ৯১টি এবং বিদ্যুৎ চালিত ৭শ’ ৬০ টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে ১০ হাজার ৬শ ৮ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হচ্ছে।
এছাড়া ৪৫ হাজার ৪শ’ ৪০ টি ডিজেল চালিত এবং ৮ হাজার ৯শ ৮০ টি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকুপের মাধ্যমে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে এবং ১৫০টি ডিজেল চালিত এবং ২০ টি বিদ্যুৎ চালিত লো-লিফট পাম্পের মাধ্যমে নদী-নালা-খাল-বিলের পানি থেকে জল সেচ দিয়ে ১ হাজার ৪শ’ ৫২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে।
এছাড়াও প্রায় ৬ হাজার দেশীয় ডোঙ্গা, হোচা ও দোন দিয়ে প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি সেচ দিয়ে ৬শ’ ৬০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করারপরিকল্পনা বাস্তায়িত হয়েছে। এ বছর এ জেলায় বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৫ মেঃ টন।
এদিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার কৃষক আবু সালেহ জানান, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১৪ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, নদী-নালা-খাল-বিল আগাম শুকিয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক উৎস নির্ভর লো-লিফট পাম্পের আওতায় এবং দেশিয় প্রযুক্তি দ্বারা সেচ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ