গাজীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
গাজীপুর মহানগরীর দাখিনখান পূর্বপাড়া এলাকায় চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুটির নাম সাদিয়া আফরিন ওরফে মায়া (৮)। সে হায়দরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রবিবার মধ্যরাতে পুলিশ বাড়ির পাশে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মায়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের পিতা কামাল হোসেন জানান, তার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী বড় ভাই কালাম মিয়ার জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত। রবিবার সকালে মায়ার মা গার্মেন্টে, বড় বোন স্কুলে এবং তিনি কাজে চলে যান। দুপরে তিনি কাজ থেকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে ফের কাজে চলে যান। তখন মায়া বাড়িতে একাই ছিল। সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরে শোনেন ছোট মেয়ে মায়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তিনি ও পরিবারের লোকজন মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেন।
এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজা রহমত উল্লাহ মনাদের (১৮) বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের স্লাব সরানো দেখতে পেয়ে সকলের সন্দেহ হয়। পরে সেপটিক ট্যাংকের স্লাব সরিয়ে নিচে বাঁশ দিয়ে নাড়া দিলে মায়ার লাশ ভেসে ওঠে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মায়ার হাত, পা ও গলায় রশি বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তিনি আরো জানান, এ সময় মায়ার শরীরের নিচের অংশে কাপড় ছিল না। রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জয়দেবপুর থানাধীন পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মোবারক হোসেন জানান, নিহতের শরীরের নিম্নাংশ থেকে রক্ত ঝরছিল। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার গালে ও শরীরে কামড়ের মতো চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই মামলার আসামি ধর্ষক রহমত উল্লা মনার মা ফজিলত বেগম ওরফে ফাতেমা (৪০) ও তার বোন নাসিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষক রহমত উল্লাহ মনা পলাতক রয়েছেন।