গুলমা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খনি
ডেস্ক রিপার্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
দূর থেকে মনে হবে পিকচার পোস্টকার্ড। নীল পাহাড়, সবুজ বন, সোনালি ধান খেত। এখানে ওখানে টং ঘর। পালা করে লোক থাকে হাতি তাড়ানোর জন্য।
এই হল গুলমার জঙ্গলের পরিচয় যেখানে হরেক পাখির মেলা— ধনেশ, ময়না, টিয়া, ফিঙে, বুলবুলি, দোয়েল।
গুলমা স্টেশনের বা দিকের আলপথ ধরে গুটি গুটি হেঁটে গেলে পুণ্ডিং বিট অফিস। পুণ্ডিং থেকে খয়রানি বনবিস্ত হয়ে ঘন বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় গোলাঘাট রেঞ্জ অফিস। দূরত্ব মাত্র ৪ কিমি ।
এই গোলাঘাটে ছিল অতীতের সুকনা লেক। গোলাঘাট থেকে লাটপাঞ্চার ১০ কিলোমিটার। প্রায়শই হাতির হানায় বনবিস্তর লোকজনেরা তটস্থ থাকেন।
গুলমা থেকে গুলমাখোলা। এই স্টেশন বাড়ি কয়েক দশক আগে হাতির পালের সমবেত আক্রমণে পরিত্যক্ত। কেবিন ঘরটি সংস্কার করে মহানন্দা অভয়ারণ্যের নজর মিনার করা হয়েছে। একদা পর্যটন দফতর মাত্র ৭৫ টাকায় হাফ-ডে জঙ্গল সাফারি চালু করেছিল।
কিন্তু যথেষ্ট জনিপ্রয় হওয়া সেত্ত্বও, কোনও কারণে সাফারি, এলিফ্যান্ট রাইডিং বন্ধ হয়ে গেছে।
সন্ধ্যায় ঝিকিমিকি তারার আলো বা জ্যোৎস্নায় প্ল্যাটফর্মে বসে পাখি, প্যাচার ডাক শুনতে শুনতে ট্রেন ধরে শিলিগুড়ি।
অনুরোধ একটাই শুকনো খাবার, চা এবং ফ্লাস্ক, জলের বোতল, দূরবীন, পাখি চেনার বই, ক্যামেরা অবশ্যই সঙ্গে থাকা চাই।
যাতায়াত:
বাসে কিংবা ট্রেনে শিলিগুড়ি । সেখান থেকে সিটি অটো ধরে নর্মদাবাগান, দেবীডাঙা হয়ে সমরনগর অটো স্ট্যাণ্ড। এই অটো স্ট্যাণ্ড গুলমা স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। শিলিগুড়ি থেকে সিটি অটোয় চম্পাসারির মিলন মোড়। সেখান থেকে হেঁটেও যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যায়।
আস্তানা:
থাকতে হবে শিলিগুড়িতেই, যেখানে রয়েছে প্রচুর হোটেল, অতিথি নিবাস, পুরসভার অতিথিশালা
হেল্প ট্যুরিজম, হিলকার্ট রোড (স্ট্যাণ্ডার্ড চাটার্ড ব্যাঙ্কের কাছে), মাথাপিছু আনুমানিক খরচ-শিলিগুড়িতে থাকলে মাথাপিছু দৈনিক অনুমানিক খরচ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে। সুকনা বনবাংলোর বুকিং করতে পারলে ঘোরাটা উপভোগ্য হবে।
আশেপাশে
মহানন্দা অভয়ারণ্যের সুকনা রেঞ্জের অন্যতম বিট পুণ্ডিং। পুণ্ডিং থেকে বনপথে রংটং, সিপাইধুরা, নরবুং, কান্দুং। একটি পথ চকলুং, চমকডাঙি হয়ে আদলপুরের দিকে যায়। নির্জন সরুপথ বনতুলসী, শাল, সেগুনের শুকনো পাতায় ছাওয়া। গুলমার কাছেই কড়াইবাড়ি, নদী, অরণ্য।
প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদুল